বর্ষায় ত্বক আর্দ্র রাখার জন্য চাই আলাদা সতর্কতা। ছবি-সংগৃহীত
বর্ষাকাল মানেই ভ্যাপসা গরম আর কাঠফাটা রোদ থেকে মুক্তি। তবে গরম পিছু ছাড়ছে না। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণও যথেষ্ট বেশি। এই সময়ে ঠিক মতো যত্ন না নিলে ত্বক রুক্ষ, প্রাণহীন হয়ে পড়ে। ত্বকে ব্রণ ও অ্যালার্জির সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে সমস্যা আরও বেশি করে দেখা যায়। ত্বক বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, বর্ষা বলে নয়, সারা বছরই ত্বক যত্নে রাখা প্রয়োজন। তবে বর্ষায় ত্বক আর্দ্র রাখার জন্য চাই আলাদা সতর্কতা।
ত্বক ভাল রাখার জন্যও পুষ্টি প্রয়োজন। খেতে হবে ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার। রোজ ভিটামিনযুক্ত খাবার খাওয়া গেলে উজ্জ্বল হবে ত্বক। সেই সঙ্গে বলিরেখা এবং ত্বকের অন্যান্য সমস্যাও কমবে।
ত্বক ভাল রাখতে রোজ কোন ভিটামিনযুক্ত খাবার বেশি করে খাবেন?
ভিটামিন এ
সানস্ক্রিন ও অ্যান্টি-এজিং ক্রিমের অন্যতম উপাদান ভিটামিন এ। ভিটামিন এ ত্বক আর্দ্র রাখে। ত্বকের তারুণ্য ফিরিয়ে আনে। এ ছাড়া, ব্রণর সমস্যা থেকেও সুরক্ষিত রাখে ত্বক। রোজ পাতে রাখুন গাজর, কুমড়ো, বেল পেপার, পেঁপে, ব্রকোলি, পালংশাকের মতো খাবার। ডিমেও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে। প্রতি দিনের ডায়েটে এক জন পূর্ণবয়স্ক পুরুষের ৭০০ মাইক্রোগ্রাম। এক জন পূর্ণবয়স্ক মহিলার ৯০০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন এ রাখা প্রয়োজন।
ভিটামিন ই
উজ্জ্বল ত্বক পেতে হলে রোজ পাতে ১৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন ই-সমৃদ্ধ খাবার রাখতেই হবে। জ্বালা ভাব, শুষ্কতার সমস্যা কমিয়ে ত্বককে আর্দ্র রাখে ভিটামিন ই। ত্বকের কালো দাগ, বলিরেখাও দূর করতে পারে। তার জন্য পাতে রাখতে পারেন চিনেবাদাম এবং সিরিয়াল জাতীয় খাবার।
ভিটামিন ডি
ত্বককে জীবাণু ও ক্ষতিকর রাসায়নিকের হাত থেকে বাঁচায় ভিটামিন ডি। এর পাশাপাশি ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষা করতেও ভিটামিন ডি-র ভূমিকা কম কিছু নয়। প্রতিদিন পাতে ২০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন ডি রাখা দরকার। মাখন, ডিম, চিজের মতো দুগ্ধজাত খাবার বেশি করে খাওয়া জরুরি।