ত্বকের যত্ন নেবে পাকা আম। ছবি: সংগৃহীত।
সকালের জলখাবারে ওট্স কিংবা স্মুদির সঙ্গে, মধ্যাহ্নভোজের পর ফ্রুট স্যালাডে পাকা আম খাওয়া হয়। এমনিতে পাকা আমের পুষ্টিগুণ নিয়ে কমবেশি সকলেই জানেন। এই ফলের মধ্যে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন, পটাশিয়াম, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। তবে অনেকেই জানেন না, পাকা আম মুখে মাখলে ঠিক কী কী উপকার হয়।
পাকা আম মাখলে ত্বকের কী উপকার হয়?
১) ত্বক ভিতর থেকে উজ্জ্বল হয়।
২) ত্বকের মসৃণ ভাব বজায় থাকে।
৩) চট করে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে না।
৪) বলিরেখা, কালচে, দাগছোপ কিংবা পিগমেন্টেশনের সমস্যা দূর হয়। এমনকি, রোদে পোড়া ‘ট্যান’ তুলতেও আম বেশ কাজের।
৫) ত্বকের নিজস্ব তেল বা সেবাম ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে।
৬) ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে আম।
৭) ত্বকে জমা মৃত কোষ দূর করতেও সাহায্য করে।
মুখে পাকা আম কী ভাবে মাখবেন?
১) পাকা আম এবং বেসনের ফেস মাস্ক
ছোট একটি পাত্রে পাকা আমের ক্বাথ নিন পরিমাণ মতো। তার সঙ্গে এক টেবিল চামচ বেসন মিশিয়ে নিন। চাইলে অল্প মধু মিশিয়ে নিতে পারেন। ভাল করে মিশিয়ে মুখে মেখে রাখুন। হালকা হাতে মিনিট পাঁচেক মাসাজ করতে পারেন। এক্সফোলিয়েটরের মতো কাজ করবে এই মিশ্রণ। তার পর ২০ থেকে ২৫ মিনিট রেখে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
২) পাকা আম এবং কাঠবাদামের ফেস মাস্ক
মিক্সিতে পাকা আমের শাঁস এবং ৫-৬টি ভেজানো কাঠবাদাম পেস্ট করে নিন। তার সঙ্গে মিশিয়ে নিন সামান্য মধু। তার পর মুখ, গলা এবং ঘাড়ে মেখে রাখুন। মিনিট পনেরো রেখে ধুয়ে ফেলুন।
৩) পাকা আম এবং মুলতানি মাটির ফেস মাস্ক
ছোট একটি পাত্রে এক টেবিল চামচ মুলতানি মাটি এবং পাকা আমের ক্বাথ ভাল করে মিশিয়ে নিন। চাইলে অল্প টক দইও মিশিয়ে নিতে পারেন। এই মিশ্রণ পনেরো মিনিট মুখে রাখুন। তার পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।