ব্রিগেডের সভায় র্যাম্পে হাঁটলেন অভিনেত্রী থেকে রাজনীতিবিদ। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
ব্রিগেডের ‘জনগর্জন সভা’ থেকেই ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের এ রাজ্যের ৪২টি আসনের প্রার্থী ঘোষণা করে দিলেন তৃণমূলের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সদ্য ঘোষিত প্রার্থিতালিকায় চমকের শেষ নেই। যে সময়ে প্রার্থিতালিকা ঘোষণা করলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ঠিক সেই সময়েই ৪২ আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে নিয়ে ব্রিগেড ময়দানের র্যাম্পে হাঁটলেন মমতা। তৃণমূলের প্রার্থিতালিকায় ছিল যেমন চমক, তেমন র্যাম্পেও ছিল দারুণ চমক। মমতার পাশাপাশি সকলের নজরে এল বেশ কয়েক জন মহিলা প্রার্থীর সাজ। এক ঝলকে দেখে নিন ব্রিগেডের মাঠে কাদের সাজ ছিল নজরকাড়া।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: ব্রিগেডের সভায় এই প্রথম বার র্যাম্পে হাঁটতে দেখা গেল পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ‘জনগর্জন সভা’য় মমতার পরনে দেখা গেল সবুজ পাড়ের সাদা শাড়ি। শাড়ির আঁচলে জামদানি কাজ। হাতে স্মার্টওয়াচ। র্যাম্পে দাঁড়িয়ে কর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশে হাত নাড়ালেন মমতা। ব্রিগেড থেকেই ‘খেলা হবে’ স্লোগান দিলেন মমতা।
রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়: ব্রিগেডের সভায় র্যাম্পে মমতার ঠিক পিছনেই হাঁটলেন রচনা। ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে তৃণমূলের প্রার্থিতালিকায় অন্যতম বড় মুখ রচনা। ব্রিগেডের সভায় রচনার পরনে ছিল পেঁয়াজি রঙের কাঁথা স্টিচের নকশা করা সিল্কের শাড়ি। শাড়ির পাড় বরাবর ফুলেল কারুকাজ। শাড়ির সঙ্গে রচনা পরেছিলেন কলারযুক্ত সাদা ব্লাউজ়। খোলা চুল, ছিমছাম মেকআপেই কিন্তু নজর কেড়েছেন ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ রচনা। এ বছর লোকসভা নির্বাচনে হুগলি আসনে তৃণমূলের হয়ে লড়বেন রচনা।
মহুয়া মৈত্র: ব্রিগেডে অভিনেত্রীদের ভিড়েও আলাদা করে নজর কেড়েছে মহুয়া মৈত্রের সাজ। কৃষ্ণনগর আসনে লড়বেন মহুয়া মৈত্র। নাম ঘোষণার পরেই ব্রিগেডের মঞ্চে হাঁটতে দেখা গেল মহুয়াকে। পরনে হালকা গোলাপি রঙের চেক লিনেন শাড়ি। খোলা চুল, চোখে সানগ্লাস, বড় টিপ— মহুয়ার সাজ টেক্কা দিয়েছে বড় বড় অভিনেত্রীকেও।
জুন মালিয়া: ব্রিগেডে ময়দানে জুন ধরা দিলেন একেবারে মমতার সাজে। জুনের পরনেও ছিল মমতার মতো সাদা সুতির শাড়ি। নীল চওড়া পাড়ের শাড়ি জুড়ে ছোট ছোট নীল বুটি। চুলে খোঁপার বাঁধন, চোখে কালো মোটা ফ্রেমের চশমা, মুখে মেকআপ নেই বললেই চলে। জুনের গোটা সাজেই যেন ধরা পড়ল দলনেত্রী মমতার ছোঁয়া। মেদিনীপুর আসন থেকে লোকসভা ভোটে লড়বেন জুন।
সায়নী ঘোষ: মিটিং হোক কিংবা জনসভা— অভিনেত্রী সায়নী ঘোষকে বরাবরই শাড়িতেই প্রচার করতে দেখা গিয়েছে। ব্রিগেডের র্যাম্পে হাঁটার সময়েও সায়নীর পরনে ছিল লাল, সবুজ পাড়ের সাদা সুতির শাড়ি। মাথায় উঁচু করে খোঁপা, কপালে কালো টিপ। নাম ঘোষণা হতেই মঞ্চের সামনে এগিয়ে এসে সমর্থকদের সামনে হাত নাড়ালেন তিনি। চোখমুখে বরাবরের মতোই আত্মবিশ্বাসের ছাপ। যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে এ বার অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীর বদলে তৃণমূলের হয়ে টিকিট পেলেন সায়নী।
শতাব্দী রায়: বীরভূম আসনে লড়বেন শতাব্দী রায়। ব্রিগেডের র্যাম্পে অভিনেত্রী শতাব্দী রায়কে দেখা গেল শাড়িতেই। শতাব্দীর পরনে ছিল নীল রঙের জর্জেটের শাড়ি। শাড়ির গা জুড়ে সাদা সুতো দিয়ে ফুলেল নকশা করা। চোখে চশমা, ঠোঁটে লাল লিপস্টিক, খোলা চুলে ব্রিগেডে নজর কাড়লেন তিনি।