রুপোর গয়না আসল তো? ছবি: সংগৃহীত।
সোনার দাম আকাশছোঁয়া। তাই গয়না বললে এখন ‘গিল্টি করা সোনা’র কথাই প্রথম মাথায় আসে। অবশ্য সোনার তুলনায় কম দাম রুপোর। ইদানীং সেই গয়নার চাহিদাও পাল্লা দিয়ে বেড়েছে। বাহারি রুপোর গয়নার বিশ্বস্ত ডেরা ছিল নিউ মার্কেট, গড়িয়াহাট। ছোটবেলা থেকে তা-ই জেনে এসেছেন। কিন্তু এখন তো যুগ বদলেছে। চাইলেই বাড়ি বসে, হাতের কাছে সব কিছু চলে আসতে পারে। এখন আবার ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে বিভিন্ন গ্রুপ হয়েছে। সেখানে নানা রকম জিনিস, প্রসাধনী বিক্রি হয়। ‘লাইভ’ দেখে অর্ডার করে দিলেই বিক্রেতারা বাড়িতে সেই জিনিস পৌঁছে দেন। বাড়িতে তৈরি আচার, জ্যাম, জেলি, কেক তো আছেই, সঙ্গে রয়েছে রকমারি পোশাকও। রুপোর গয়নাও বাদ নেই। চেনা-জানা অনেকেই সেখান থেকে রুপোর গয়না কিনেছেন। দেখতে সুন্দর, নকশাও অভিনব। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায় সেই ধাতুর মান নিয়ে। পছন্দ হলেও কেনার আগে দশ বার ভাবেন। সোনার গয়না কিনতে গেলে না হয় ‘হলমার্ক’ দেখে তবেই কেনেন। কিন্তু রুপোর গয়নার ক্ষেত্রে তা আসল কি না বোঝার উপায় কী?
১) হলমার্ক দেখে কিনুন:
অনেকেই হয়তো জানেন না, রুপো কতখানি খাঁটি তা চেনার জন্যেও হলমার্ক দেওয়া হয়। নামকরা সংস্থা থেকে কিনলে, সেই গয়নার গায়ে হলমার্ক স্ট্যাম্প থাকবেই। রুপোর ক্ষেত্রে সাধারণত ৯২৫ সংখ্যা দেখে তবেই কিনতে বলা হয়। সঙ্গে যে দোকান থেকে কিনছেন, সেখানকার নিজস্ব কিছু সঙ্কেত চিহ্নও দেওয়া থাকে। সেই স্ট্যাম্প সব সময় খালি চোখে দেখা যায় না। আতশকাচের সাহায্যে দেখতে হয়।
২) চুম্বক দিয়ে পরীক্ষা করে দেখুন:
আসল রুপো কোনও দিন চুম্বককে আকর্ষণ করে না। কিন্তু ওই ধাতুর মধ্যে যদি কোনও রকম অশুদ্ধি মেশানো থাকে, সে ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হতে পারে। তাই রুপোর গয়নায় চুম্বক ছুঁইয়ে দেখা যেতেই পারে।
৩) কাপড় দিয়ে মুছে দেখুন:
রুপোর গয়না আসল কি না, তা বুঝতে হলে পরিষ্কার, শুকনো, সুতির কাপড় দিয়ে ঘষে ঘষে মুছে দেখুন। যদি কাপড়ের গায়ে কালচে দাগ লেগে থাকে, তা হলে বুঝতে হবে সেই ধাতুটি আসল।