গরমকালে জোয়ান খাওয়া যায়? ছবি: সংগৃহীত।
পরিমাণে একটু বেশি খেয়ে পেটভার হোক বা গ্যাস-অম্বল, সামান্য একটু জোয়ান খেলেই কেল্লাফতে! হজমের সমস্যায় তো বটেই, সর্দি-কাশিতেও আরাম দেয় এই মশলা। আবার, অম্বলের সমস্যা এড়াতে লুচি, পরোটা, রায়তায় জোয়ান মিশিয়ে খান অনেকেই। কিন্তু জোয়ান খেলে তো মুখ-গলা এমনিতেই জ্বালা করে। সেই মশলা আবার অম্বলের জ্বালা ভাব কমাবে কী করে? পুষ্টিবিদেরা বলছেন, জোয়ান সামান্য পরিমাণে খেলেও দেহের তাপমাত্রা একবারে অনেকটা বেড়ে যেতে পারে। স্বাদের কথা ভেবে যদি অতিরিক্ত জোয়ান রান্নায় দেন, তবে অজান্তেই শরীর গরম হয়ে উঠতে পারে। আর এই আবহাওয়ায় দেহের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে হিতে বিপরীত হওয়া অস্বাভাবিক নয়।
তবে, জোয়ানের পুষ্টিগুণ কিন্তু কম নয়। ক্যালশিয়াম, আয়রন, ফসফরাসের মতো উপাদান রয়েছে এই মশলায়। এ ছাড়া রয়েছে ‘থায়মল’ নামে এক ধরনের অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান ও সহজপাচ্য ফাইবার, যা অন্ত্র ভাল রাখতে এবং বিপাকহার বাড়িয়ে তুলতেও সাহায্য করে। পেটের যাবতীয় সমস্যার নিরাময়ে আয়ুর্বেদে জোয়ানের ব্যবহার রয়েছে। তবে, তা খেতে হবে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে। রাতে একগ্লাস জলে এক চা চামচ জোয়ান ভিজিয়ে রাখতে পারেন। সকালে উঠে ছেঁকে নিয়ে সেই জল খেলে কোনও সমস্যা হয় না। অনেকেই সাধারণ চায়ের বদলে, জোয়ানের চা খান। তাতে কী কী উপকার হয়?
১) জোয়ানের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।
২) আয়ুর্বেদ বলছে, জোয়ান ডায়াবেটিকদের জন্যেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এই মশলায় রয়েছে প্রদাহনাশক উপাদান।
৩) শ্বাসযন্ত্র জনিত সমস্যাতেও দারুণ কাজের জোয়ানের চা। বহু দিনের পুরনো কাশি নিরাময়ে এই মশলার বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।