গোলাপজল। ছবি: সংগৃহীত।
নিজেকে সুন্দর করে তুলতে চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখেন না কেউই। ঘন ঘন পার্লারে যাওয়া থেকে ঘরোয়া টোটকার ব্যবহার— বাদ যায় না কিছুই। তা সত্ত্বেও সমস্যার অন্ত নেই, আর সমাধানও সহজ নয়। ব্রণ থেকে কালো দাগছোপ— জীবনের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে। তবে এই সমস্যাগুলি থেকে নিষ্কৃতি পেতে চাইলে গোলাপজল মোক্ষম অস্ত্র হতে পারে। শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা— ত্বকের যত্নে কেন গোলাপজলই ভরসা?
১) ক্লেনজিং, টোনিং, ময়শ্চারাইজিং— রোজের রূপচর্চার রুটিনে এই তিনটি ধাপ বাধ্যতামূলক। ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য ঠিক রাখতে গোলাপজল ভীষণ ভাবে সাহায্য করে। এর ‘অ্যাসট্রিনজেন্ট’ উপাদান রোমকূপে ঢুকে থাকা তেল ও ময়লা বার করে আনে। নিয়মিত গোলাপজলের ব্যবহার ত্বকে তেলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে বলে ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডস, ব্রণর মতো সমস্যা ত্বকে কম হানা দেয়। তাই রাসায়নিক উপাদান মিশ্রিত টোনারের চেয়ে গোলাপজল অনেক বেশি উপকারী। কিছু ক্ষণ এটি মুখে লাগিয়ে রাখুন।
২) গোলাপজলে থাকা অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান ত্বকের অনেক ক্ষত এবং সেই ক্ষত থেকে তৈরি হওয়া দাগ মিলিয়ে দিতে পারে। আবার গোলাপজলের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ত্বকের প্রতিটি কোষ সজীব রাখে। ত্বক থাকে ঝলমলে।
৩) শরৎ কিংবা শীত, যে কোনও ঋতুতেই গোলাপজল ব্যবহার করতে পারেন। মুখ শুকনো লাগুক বা ঘামে ভেজা, মুখে একটু গোলাপজল স্প্রে করে নিলেই চটজলদি পেয়ে যাবেন সমস্যার সমাধান। ত্বকও থাকবে চনমনে। আবার অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট উপাদান থাকায় ত্বকে বার্ধক্য থাবা বসায় দেরিতে