স্বাস্থ্যকর এই পানীয়গুলি ভিতর থেকে ত্বকের যত্ন নেয়। প্রতীকী ছবি।
নভেম্বর মানেই শীতের শুরু। বাতাসে একটা ঠান্ডা হিমেল ভাব। শীতে কুঁকড়ে না গেলেও একটা শিরাশিরানি আছে। তা-ও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বার শীতের আগমন খানিক দেরিতেই হচ্ছে। শীত দেরিতে এলেও ত্বকে টান ধরতে শুরু করেছে এখন থেকেই। চামড়া কুঁচকে যাওয়া, রুক্ষতা, খসখসে ত্বক তো আসন্ন শীতেরই লক্ষণ। এখন থেকে অনেকেই ত্বকের যত্ন নিতে শুরু করেছেন। তবে বাজারচলতি প্রসাধনী তো রয়েছেই। সেই সঙ্গে শুষ্ক ত্বকের পরিচর্যায় ভরসা হতে পারে কয়েকটি পানীয়। রোজের ডায়েটে সেগুলি রাখতে হবে এমন নয়। তবে সপ্তাহে দু’-এক দিন খেলেও উপকার পাবেন। কারণ প্রসাধনী চামড়ার উপরের স্তরের রুক্ষতা দূর করতে পারে। কিন্তু স্বাস্থ্যকর এই পানীয়গুলি ভিতর থেকে ত্বকের যত্ন নেয়। রইল তেমন কয়েকটি জাদু পানীয়ের খোঁজ।
লেবু ও মধুর রস
ওজন কমাতে লেবু, মধুর মিশ্রণের জুড়ি মেলা ভার। মেদ কমাতে অনেকে তা খেয়েও থাকেন। কিন্তু এই মিশ্রণটি ত্বকের জেল্লা বাড়াতেও দারুণ ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে শীতকালে। শরীরের জমে থাকা টক্সিন দূর করতে এই পানীয় উপকারী। লেবু অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি উপাদান ত্বকের যাবতীয় সংক্রমণ দূর করে। শীতে রুক্ষতার আস্তরণ সরিয়ে কোমলতা আনতে এই পানীয়টি খেতে পারেন।
গ্রিন টি
এই চায়ের স্বাস্থ্যগুণ নিয়ে আলাদা করে কিছু বলার নেই। ওজন কমানো থেকে শুরু করে ডায়াবিটিসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা— গ্রিন টি-র জুড়ি মেলা ভার। ত্বকের যত্নেও এর অনবদ্য ভূমিকা রয়েছে। গ্রিন টি-তে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ত্বকের প্রতিটি কোষ সজীব রাখে। ফলে বাইরে থেকেও ত্বকে ফুটে উঠে জেল্লা। শীতেও ত্বকে বসন্তের ছোঁয়া পেতে চাইলে খেতেই পারেন গ্রিন টি।
শসার রস
হজমের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে শসা দারুণ কাজ করে। সেই সঙ্গে খেয়াল রাখে ত্বকেরও। শীতে ত্বকের পরিচর্যায় বাড়তি জৌলুস পেতে ভরসা রাখতে পারেন শসার উপর। এর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ত্বকের যাবতীয় টক্সিন বার করে দেয়। শরীর আর্দ্র রাখার পাশাপাশি ব্রণর সমস্যা কমাতেও শসা দারুণ কাজ করে।