অনন্যা পাণ্ডে। ছবি : ইনস্টাগ্রাম।
প্রেমে বার বার প্রেমিকাদের চোখের নিশানাতেই ঘায়েল হয়েছে প্রেমিককুল। চোখের গভীরে ডুব দিয়ে তার পরে আর কূল-সীমা কোনওটাই পায়নি তারা। কালো হরিণ নয়ান হোক বা বিড়ালাক্ষী— চোখ আরও মায়াবী হতে পারে রঙের ব্যবহারে। সেই রং কাজলের কালো হতে পারে, ধূসর হতে পারে, মেটে, সবুজ কিংবা তুঁতে নীলও হতে পারে। মিশরের রানি ক্লিওপেট্রা যেমন তাঁর চোখের নীচের পাতায় পান্না জাতীয় সবুজ রত্নের গুঁড়ো ব্যবহার করতেন। আর উপরের পাতায় ঘন নীল রং আনতেন লাপিস লাজুলি পাথরের মিহি গুঁড়ো ছড়িয়ে। কাজলের পাশাপাশি সোনালি রঙের খনিজ ব্যবহার করা হত রানির চোখে সোনালি ঝিলিক আনার জন্য।
সেটা অবশ্য যিশু খ্রিস্টের জন্মের বছর ৫০ আগের কথা। এ যুগে চোখে মায়াবি ঝিলিকের জন্য রত্নের গুঁড়োর দরকার পড়ে না। লাগে লিক্যুইড আইশ্যাডো। যে আইশ্যাডো এক বার চোখে লাগালে ঘেঁটে যাওয়ার কোনও ভয় নেই। সকাল থেকে রাত একই রকম থাকবে। কিন্তু চোখের ঝিলিকে জাদুর ছোঁয়া আনতে হলে জানতে হবে, কী ভাবে ব্যবহার করতে হয় লিক্যুইড আইশ্যাডো।
তরল হলেও কঠিন
লিক্যুইড আইশ্যাডো তরল হতে পারে কিন্তু এর ব্যবহার যে কিছুটা কঠিন, তা মানেন রূপটান শিল্পীরাও। তবে একই সঙ্গে তাঁরা এ-ও বলছেন যে, আইশ্যাডো লাগানোর কোনও নির্দিষ্ট নিয়ম নেই।
অল্পেই সন্তুষ্টি
এই ধরনের আইশ্যাডো যথাযথ ব্যবহারের প্রথম কায়দা হল, অল্প পরিমাণে ব্যবহার। মনে রাখবেন, অল্প দিলে দরকার মতো পরিমাণ বাড়িয়ে নেওয়া যাবে। বেশি ব্যবহার করলে তা সামলানো মুশকিল।
পল্লবে পল্লবিত
গুরুত্ব দিন চোখের পল্লবরেখায়। প্রথমে সেখানেই আইশ্যাডো ব্যবহার করুন। এতে কাজল না পরলেও মনে হবে, কাজল পরেছেন। চোখ আরও গভীর দেখাবে।
জাদু আঙুলের ডগায়
আঙুলের ছোঁয়ায় পল্লবরেখা থেকে চোখের উপরের দিকে মিশিয়ে দিন আইশ্যাডো। লিক্যুইড আইশ্যাডো যদি ‘গ্লিটারি’ হয় তবে একটু এদিক-ওদিক হলে অসুবিধা নেই। তবে ‘ম্যাট ফিনিশ’ হলে একটু সতর্ক হতে হবে। সে ক্ষেত্রে চ্যাটালো ব্রাশের ব্যবহার করা যেতে পারে।
পরতে পরতে রং
একাধিক রঙের ব্যবহার করা যেতে পারে। বা একই রং কোথাও বেশি, কোথাও কম ব্যবহার করে চোখের সুন্দর জায়গাগুলিকে আরও স্পষ্ট করে তুলতে পারেন। তবে রং আরও দীর্ঘস্থায়ী করতে নীচে ব্যবহার করা যেতে পারে পাউডার। বিশেষ করে, তৈলাক্ত ত্বকে এতে সুবিধা হবে।