সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়, জিৎ, লহমা ভট্টাচার্য যখন এক ফ্রেমে। ছবি: সংগৃহীত।
সেটে কি সে দিন ‘চিকনি চামেলি’ বলিউডি গান বাজছিল? একেবারেই না! তবু স্টুডিয়ো ফ্লোরে পা দিয়েই সে দিন খোশমেজাজে ‘চেঙ্গিজ়’ (পড়ুন জিৎ) তাঁর নায়িকাকে ‘চামেলি’ বলে ডেকেছিলেন। শুনে নায়িকার কী প্রতিক্রিয়া? প্রথমে বিস্ময়ে হাবুডুবু খেয়েছেন। তার পরেই গালে টোল ফেলে হাজার ওয়াটের হাসি উপহার!
জিৎ, উইকিপিডিয়া অনুযায়ী শনিবার তিনি ৪৬! দেখে যদিও বোঝার উপায় নেই। নির্মেদ শরীর। ঢেউখেলানো চুল। কখনও নিখুঁত ভাবে দাড়ি-গোঁফ কামানো। কখনও দাড়ি-গোঁফে সুপুরুষ। এমন কেউ যদি তাঁর নায়িকাকে ‘চামেলি’ বলে সম্বোধন করেন, নায়িকা তো আনন্দের চোটে মেঘমুলুকে ভাসবেনই। হ্যাঁ, ‘চেঙ্গিজ়’ ছবির সেটে এ ভাবেই তিনি সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়কে ডেকেছিলেন। নায়কের জন্মদিনে আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে এমনই এক মধুর স্মৃতি ভাগ করে নিলেন অভিনেত্রী।
অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ‘প্রেম ট্রেম’ দিয়ে বিনোদন দুনিয়ায় পথ চলা শুরু। খান চারেক ছবির পরেই তিনি জিতের নায়িকা। ডাক পাওয়ার পর নায়িকা কতটা রোমাঞ্চিত? ফোনের ও পারে যেন স্বপ্নে ভাসতে ভাসতে উত্তর দিলেন, “স্বপ্নে দেখা নায়কের সঙ্গে কাজ। তা-ও আবার একটা নয়, দুটো ছবিতে। ভাগ্যে না থাকলে হয়!” পর্দায় যিনি শত্রু দমনে ব্যস্ত, বাস্তবে তিনিই ভীষণ মাটির কাছাকাছি থাকা মানুষ! আন্তরিক, অত্যন্ত ভদ্র, ইতিবাচক। সকলকে খুব তাড়াতাড়ি আপন করে নিতে পারেন। আর উজাড় করে ভালবাসতে পারেন।
মানুষ ভাল-মন্দয় গড়া। এ দিকে জিতকে নিয়ে সুস্মিতার কেবলই প্রশংসা!
ফের ঝকঝকে হাসি। বললেন, “মানুষটাই ভীষণ ইতিবাচক। যে কোনও চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত। কখনও মুখের হাসি মোছে না। আর জিতদা সেটে মানে বাকিরাও চার্জড। নিজের পাশাপাশি চারপাশেও আশা, ইতিবাচকতা ছড়িয়ে দিতে জানেন।”
একই অভিজ্ঞতা জিতের নায়িকা লহমা ভট্টাচার্যেরও। প্রথম ছবি ‘রাবণ’-এ তিনি এই নায়কের বিপরীতে। ছবির গান, ‘তোকে একার দেখার লুকিয়ে কি মজা’ সেই সময়ে জনপ্রিয় হয়েছিল। নায়কের জন্মদিনে তিনি একরাশ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বলেছেন, “জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা রইল। জিৎদার কাছে আমি চিরকাল কৃতজ্ঞ থাকব আমার প্রথম ছবির নায়ক হওয়ার জন্য। আশা করি, তাঁর বছরটি দারুণ কাটবে। সব সময় তাঁর মঙ্গল কামনা করি।” বিপরীতে ‘প্রেমিক’ নায়ক। ঝুলিতে নিশ্চয়ই অজস্র ভাল স্মৃতি? নায়িকার মতে, “অনেক স্মৃতি রয়েছে, একটি নির্দিষ্ট মুহূর্ত বেছে নেওয়া কঠিন। পুরো শুটিংটাই আমার সারা জীবন মনে থেকে যাবে।”