প্রতীকী ছবি
শীতকালে দূষণের ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় আমাদের ত্বক। চামড়ার উপরের স্তরে ধুলো-ময়লা জমা হওয়ার ফলে চেহারা হারায় সতেজতা এবং ব্রণ, কালো ছোপ ইত্যাদি দেখা দিতে শুরু করে। এই সময় ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ফিরিয়ে আনতে অনেকেই শরণাপন্ন হন বাজারচলতি নানা প্রসাধনী তথা রূপচর্চার পণ্যের। এতে যেমন পকেটেও টান পড়ে, তেমনই এ সব জিনিসের মধ্যে থাকা বিভিন্ন রাসায়নিক চামড়ার কোনও না কোনও ক্ষতিও করতে পারে। অথচ সকলের হাতের কাছেই থাকে প্রাকৃতিক কিছু এমন জিনিস, যা ত্বকের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী। সে সব ব্যবহারে অতিরিক্ত অর্থব্যয় হওয়ার সম্ভাবনা তো নেইই, কোনও অচেনা রাসায়নিকের সংস্পর্শে আসার ভয়ও থাকে না একেবারেই।
মধু
মধু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিসেপটিক এবং ময়েশ্চারাইজিং বৈশিষ্ট্যে পরিপূর্ণ। এটি মুখের ময়লাও পরিষ্কার করতে পারে চমত্কার ভাবে। আর মধু একটি হিউমিক্ট্যান্ট, অর্থাৎ এটি ত্বকের আর্দ্রতা দীর্ঘ সময়ের জন্য ধরে রাখে। অল্প লেবুর রস দিয়ে কয়েক দিন অন্তর মধু মুখে লাগলে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ফিরে আসবে দ্রুত।
টমেটো
টমেটো ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে। এর মধ্যে থাকা ভিটামিন এবং অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান আপনার মুখে সারা দিনের ক্লান্তির ছাপ মুছে দিতে পারে। নিয়মিত টমেটো ব্যবহার করতে চাইলে টমেটো দুই ভাগ করে এর শাঁস লাগান সারা মুখে। দশ মিনিট পর জলের ঝাপটা দিয়ে ধুয়ে নিন।
আলু
আলুতে রয়েছে ভিটামিন সি এবং প্রচুর পরিমাণে আয়রন। মুখের দাগ-ছোপ কমাতে, স্বাভাবিক রং ফিরিয়ে আনতে আলুর রস লাগাতে বলেন একাধিক ত্বক-বিশেষজ্ঞও। একটি মাঝারি আকারের আলুর রস সারা মুখে এবং গলায় অন্তত ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। নিয়মিত এই পদ্ধতি ব্যবহার করলে কিছু দিনেই দেখবেন ত্বকের জেল্লা ফিরে এসেছে।
দুধ
পথ্য হিসেবে দুধের পুষ্টিগুণ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই কারওই। কিন্তু চামড়ার জন্যেও দুধ অত্যন্ত উপকারী বলে প্রমাণিত হয়েছে। এর মধ্যে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড ত্বকের মৃত কোষ সরিয়ে ফেলতে পারে। তুলো দুধে ভিজিয়ে নিয়মিত ১০ থেকে ২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখলে পরিষ্কার হবে লোমকূপও।
নারকেল তেল
মুখের তরতাজা ভাব ফিরিয়ে আনতে নারকেল তেলের জুড়ি মেলা ভার। এটি একটি কার্যকর ময়েশ্চারাইজার এবং নারকেল তেল এটোপিক ডার্মাটাইটিসের জন্য অত্যন্ত ফলদায়ক। কিন্তু আপনার যদি ব্রণ-প্রবণ ত্বক থাকে, তা হলে অবশ্যই নারকেল তেল ব্যবহার করুন চিকিত্সকের পরামর্শ মেনে।