ফাউন্ডেশন মাখলে ত্বকের ক্ষতি হয়? ছবি: সংগৃহীত।
রোদে বেরিয়ে মুখে ট্যান পড়ছে। ব্রণ সেরে গেলেও তার দাগ রয়ে গিয়েছে। তেমন মুখ নিয়ে তো আর বাইরে বেরোনো যায় না। তাই অফিসে যাওয়ার আগে খুব বেশি মেকআপ করার সময় হয় না বলে হালকা ফাউন্ডেশন মেখে নেন। তাতে যেমন মুখের অবাঞ্ছিত খুঁত ঢেকে যায়, আবার সহকর্মীদের অনুরোধে যখন-তখন সেলফি তুলতে কিংবা অফিস ফেরত কোনও অনুষ্ঠানে যেতেও সমস্যা হয় না। কিন্তু ত্বকের চিকিৎসকেরা বলছেন, রোজ ফাউন্ডেশন মাখার কিন্তু বিপদ রয়েছে। তা সে যতই দামি প্রসাধনীই কিনুন না কেন!
রূপটানশিল্পীরা বলছেন, দীর্ঘ দিন ধরে ফাউন্ডেশন ব্যবহার করার ফলে ত্বক ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়ে। এই ধরনের প্রসাধনীর মধ্যে থাকে ‘ম্যাট’ পাউডার এবং অ্যালকোহল। ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল শুষে নিতে এই দুই উপাদানই যথেষ্ট। তাই যাঁদের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক, তাঁদের গ্লিসারিন, হায়ালুরনিক অ্যাসিড কিংবা ময়েশ্চারাইজ়ার বেস্ড ফাউন্ডেশন কেনার পরামর্শ দেওয়া হয়। ত্বক ভাল রাখতে চাইলে ফাউন্ডেশন না মাখাই ভাল। তা-ও যদি মাখতেই হয়, সে ক্ষেত্রে আগে এবং পরে অবশ্যই ত্বকের সঠিক যত্ন নিতে হবে।
ফাউন্ডেশন মাখলে ত্বকে কী ধরনের সমস্যা হতে পারে?
১) মুখে নিয়মিত ফাউন্ডেশন মাখার সবচেয়ে বড় সমস্যা হল ‘ক্লোগ্ড পোরস’ বা ত্বকের উন্মুক্ত রন্ধ্রগুলি বন্ধ হয়ে যাওয়া। মুখের ওই ছোট ছোট ছিদ্রগুলির মধ্যে সেবাম জমলে যেমন ব্রণ হতে পারে, তেমনই ফাউন্ডেশন থেকেও এক জিনিস হতে পারে।
২) নিয়মিত ফাউন্ডেশন ব্যবহার করলে অনেকেরই মুখে ব্ল্যাকহেড্স এবং হোয়াইটহেড্সের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। তাই ফাউন্ডেশন মাখার আগে এবং পরে সঠিক ভাবে মুখের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।
৩) ফাউন্ডেশন থেকে অনেকেরই ত্বকে অ্যালার্জি হয়। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের মান খারাপ হওয়া অস্বাভাবিক নয়। ত্বকের ধরন অনুযায়ী ফাউন্ডেশন বেছে নেওয়ার পরেও মুখ লাল হয়ে যেতে পারে, চুলকাতে পারে। র্যাশজনিত অস্বস্তিও বেড়ে যেতে পারে।