ছিমছাম সাজেও নজর কাড়া যায়, শেখালেন রশ্মিকা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
শীতকাল মানেই বিয়েবাড়ি আর পার্টির মরসুম। আর অনুষ্ঠান বাড়ির নিমন্ত্রণ মানেই সাজগোজের সুবর্ণ সুযোগ। সাজপোশাক হতে হবে নজরকাড়া। বলিউডের বিভিন্ন অভিনেত্রীর লুক অনেকেই অনুকরণ করতে চান। আপনি কি হালকা সাজগোজ করতে পছন্দ করেন? গাঢ় রঙের লিপস্টিক, উজ্জ্বল রঙের আইশ্যাডোর মিলমিশেই যে সুন্দর হয়ে উঠতে হবে, এমন কোনও বাঁধাধরা নিয়ম নেই। বরং ‘নো মোক আপ’ লুকেও আপনি হয়ে উঠতে পারেন অনন্যা। বিয়েবাড়িতে অভিনেত্রী রশ্মিকা মন্দনার সাজে সেজে উঠতে পারেন আপনিও। ছিমছাম সাজগোজ করেও কী ভাবে ভিড়ের মাঝে নজর কাড়া যায়, রইল সেই হদিস।
সম্প্রতি ‘পুষ্পা ২’ ছবির প্রচারে ব্যস্ত রশ্মিকা। ‘পুষ্পা ১’-এর মতোই এ ছবিতেও অভিনেত্রীর অভিনয় ও নাচ প্রশংসিত হচ্ছে নানা মহলে। সেই সঙ্গে নজর কাড়ছে অভিনেত্রীর সাজপোশাকও। ‘পুষ্পা ২’-এর প্রচারে রশ্মিকাকে সব সময় দেখা গিয়েছে একরঙা শাড়িতে। নজর কাড়তে যে সব সময় জমকালো মেকআপ ও বাহারি সাজগোজ করতে হবে, রশ্মিকা কিন্তু এমনটা মোটেই মনে করেন না। ছিমছাম সাজেও কী ভাবে নিজের সৌন্দর্যকে মেলে ধরা যায়, তা বার বারই প্রমাণ করেছেন অভিনেত্রী। ছবির প্রচারের জন্য রশ্মিকা একরঙা শাড়ি বেছে নিলেও, শাড়ির রংগুলি ছিল নজরকাড়া। নীল, হলুদ, মেরুন, সবুজের মতো উজ্জ্বল রংগুলি বেছে নিয়েছিলেন তিনি। সাধারণ সাজপোশাকেও কী ভাবে মোহময়ী রূপে ধরা দেওয়া যায়, রশ্মিকার সাজগোজ তার সুন্দর উদাহরণ হতে পারে।
কখনও পোশাকশিল্পী অমিত আগরওয়ালের নকশা করা সবুজ শিফন শাড়ি, কখনও আবার মণীশ মলহোত্রর নকশা করা মেরুন শিফনেই সেজে উঠেছেন রশ্মিকা। বিয়েবাড়ি হোক বা পার্টি, জমকালো সাজ এড়াতে চাইলে রশ্মিকার মতোই একরঙা শিফন শাড়ি, হাতাকাটা ডিপনেক ব্লাউজ় আর হালকা গয়না, খোলা চুল আর নো-মেকআপ লুকে আপনিও বাজিমাত করতে পারেন।
ইদানীং অভিনেত্রীদের মধ্যে ছবির সঙ্গে মিলিয়ে পোশাক পরার ‘ট্রেন্ড’ বেশ জনপ্রিয় হচ্ছে। জাহ্নবী কপূর, বিদ্যা বালন, শ্রদ্ধা কপূরের পর সেই ট্রেন্ডে গা ভাসিয়েছেন রশ্মিকাও। মণীশ মলহোত্রর নকশা করা মেরুন শাড়ির আঁচলে লেখা ‘পুষ্পা শ্রীবল্লি’, অর্থাৎ ছবির নাম ও ছবিতে তাঁর চরিত্রের নামের ঝলক ধরা পড়েছে অভিনেত্রীর পোশাকে। সাজপোশাকে চমক ও ‘ডিজ়াইনার টাচ্’ আনতে চাইলে আপনিও একরঙা শিফন শাড়ি কিনে তার আঁচলে নিজের নাম কিংবা অন্য কোনও বার্তা লিখিয়ে নিতেই পারেন। অভিনেত্রীর মতো আপনারও সাজপোশাক হবে ছিমছাম অথচ নজরকাড়া।