প্রতীক বব্বরের বিয়ের পোশাক তৈরি করেছেন পোশাকশিল্পী তরুণ তহিলিয়ানি। ছবি: সংগৃহীত।
বাঙালি বর মানেই গরদ কিংবা তসরের ধুতি-পাঞ্জাবি। আর বর অবাঙালি হলে শেরোয়ানি, বন্ধগলা, সঙ্গে চোস্ত!
রঙের এ দিক-ও দিক হলেও বিয়ের সাজপোশাকে খুব একটা অদলবদল সাধারণত হয় না। তবে এ তো যে-সে বিয়ে নয়! অভিনেতা রাজ বব্বর এবং প্রয়াত অভিনেত্রী স্মিতা পাতিলের পুত্র প্রতীক বব্বরের বিয়ে। ভালবাসার দিনেই নিজের পছন্দ করা বাঙালি কনে প্রিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় মালা দিলেন প্রতীক।
প্রতীকের জীবন, গতিপথ, কাজ কিংবা সাজপোশাক কোনও দিনই ছকে বাঁধা ছিল না। বিয়ের দিনেও সেই ধারা বজায় রাখলেন অভিনেতা। চিরাচরিত পোশাকের বদলে সিল্কের ঘিয়েরঙা শেমিজ ধুতি, মানানসই ‘বোতামহীন’ ড্রেপ শার্ট পরেছিলেন তিনি। ওই একই রঙের সূক্ষ্ম চিকনকারি এবং ‘ফ্রেঞ্চ নট’ করা লম্বাহাতা শেরোয়ানির জ্যাকেট ছিল সঙ্গে। কোমরে জড়ানো ছিল ঘিয়েরঙা কাপড়ে ‘প্লিটেড’ কোমরবন্ধনী।
বরবেশে প্রতীক বব্বর। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
প্রতীকের পোশাকে ঐতিহ্য এবং আধুনিকতার মেলবন্ধন ঘটানোর দায়িত্বে ছিলেন পোশাকশিল্পী তরুণ তহিলিয়ানি। পোশাকে ‘প্লিট’ বা ‘কুঁচি’র ব্যবহার নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করেছেন তরুণ। পশ্চিমি পোশাকে ভারতীয় কুঁচি কী ভাবে সাজের ধরন বদলে দিতে পারে, তা আগেও দেখিয়েছেন পোশাকশিল্পী। পোশাকের সঙ্গে মানিয়ে প্রতীকের গলায় ছিল ঘিয়েরঙা মুক্তোর মালা। মাঝেমাঝে স্ফটিকের ফুলেল নকশা।
বিয়ের পর প্রতীক এবং প্রিয়া। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
বিয়ের পোশাকে এখন ‘প্যাস্টেল শেড’-এর জয়জয়কার। সেই ধারা বজায় রেখে এবং প্রতীকের পোশাকের সঙ্গে রং মিলিয়ে প্রিয়াও সেজেছিলেন ঘিয়ে রঙের লেহঙ্গায়। সঙ্গে পোলকি, মুক্তো এবং পান্নাখচিত গয়নাও ছিল। মানানসই সোনার চুড়ি, মেহন্দির সঙ্গে বাঙালি রীতি মেনে বাঙালি কনে হাতে পরেছিলেন শাঁখা-পলা।