যুবকের চোখের কাছে চশমার ফ্রেমের ট্যাটু। ছবি: টুইটারের ভিডিও থেকে নেওয়া
বর্তমান প্রজন্মের কাছে ট্যাটু ‘স্টাইল স্টেটমেন্ট’। শরীরটাকেই ক্যানভাসে পরিণত করছেন অনেকে। কারও হাতভর্তি ঠাকুর-দেবতার ছবি। কেউ আবার ঘাড়, হাত বা বক্ষে প্রেমিক-প্রেমিকার নামে ট্যাটু করাচ্ছেন। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে এমনই ট্যাটু করার একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে যা দেখে স্তম্ভিত সকলে।
ইটালির ট্যাটুশিল্পী গিপসিগের শেয়ার করা ওই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, এক যুবকের চোখের কাছে চশমার ফ্রেম এঁকে দিচ্ছেন গিপসিগ। ভিডিয়োর ক্যাপশনে লেখা, ‘আপনি যদি বার বার চশমা হারিয়ে ফেলেন, তা হলে এ ভাবে ট্যাটু করিয়ে নিতে পারেন।’ এই ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার প়র অনেকেই মনে করছেন, এই ভিডিয়োতে যা দেখানো হয়েছে, তার সবটাই ক্যামেরার কারসাজি। অনেকে আবার এই ভিডিয়ো দেখে বেশ চিন্তা প্রকাশ করেছেন। এক জন লিখেছেন, ‘ফ্যাশনের জন্য চোখ নিয়ে এমন ছেলেখেলা করার কোনও মানে হয় না, এই কাজের জন্য দৃষ্টিশক্তিও চলে যতে পারে।’ তবে এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
এখন সারা শরীরে রকমারি ট্যাটু করানো বেশ ‘ইন’। রাস্তায় বেরোলে তরুণ–তরুণীদের শরীরের বিভিন্ন অংশে জ্বলজ্বল করে ট্যাটু। তবে ট্যাটু করাতে চাইলেই তো হবে না, আঁকার আগে ও পরে মেনে চলতে হয় বেশ কিছু নিয়ম। এতে আর্দ্র থাকবে ত্বক। কমবে সংক্রমণের আশঙ্কা।
ট্যাটু করানোর আগে
কোথায় ট্যাটু করাবেন, কতটা জায়গা জুড়ে করাবেন, তা আগে থেকেই ঠিক করে নিতে হবে। মনে রাখবেন, এক বার করানো হয়ে গেলে তুলে ফেলা মুশকিল। বদল করার সুযোগ কম। ট্যাটু করানোর আগে অন্তত এক সপ্তাহ ভাল ভাবে জল খেতে হবে। এতে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকে। আর্দ্রতা ভাল থাকলে ত্বক থাকে নরম এবং স্বাস্থ্যকর, যা ট্যাটু করানোর পক্ষে আদর্শ। ট্যাটু করার আগের রাতে মদ্যপান না করাই ভাল। এমনকি, সম্ভব হলে এড়িয়ে যেতে হবে কফিও। কারণ এতে ট্যাটু করানোর সময় বেশি রক্তপাত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ট্যাটু করতে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টা আগে বেদনানাশক ওষুধ এড়িয়ে চলাই ভাল।
ট্যাটু করানোর সময়
ট্যাটু করানোর সময়ে অবশ্যই নতুন সুচ ব্যবহার করতে হবে। খেয়াল রাখুন আপনার ট্যাটুশিল্পী কী ধরনের সুচ ব্যবহার করছেন। একই সুচ বার বার ব্যবহার করলে রোগ সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। এমনকি, এডসের মতো মারাত্মক বিপদও ঘটে যেতে পারে।
Ain’t no damn way pic.twitter.com/lPvbucp8IA
— Lance (@Bornakang) June 16, 2023
ট্যাটু করানোর পর
ট্যাটু করার পর অনেকের চামড়ার সমস্যা দেখা যায়। ট্যাটুর জায়গাটিকে অযথা ঘষাঘষি করবেন না। অন্তত দুই থেকে তিন সপ্তাহ সাঁতার কাটা ও গরম জলে স্নান করা থেকে বিরত থাকাই ভাল। কিছু ক্ষেত্রে সংক্রমণ এড়াতে পরিষ্কার করতে হয় ট্যাটু করার জায়গা। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে ট্যাটুর স্থান পরিষ্কার করতে হবে। পরিষ্কারের সময়ে অ্যান্টি-ব্যাক্টিরিয়াল সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে আগে। মোছার সময়ে নরম তোয়ালে ব্যবহার করুন। অনেক সময়ে ট্যাটুর জন্য উপযোগী ক্রিম বা লোশন লাগাতে বলেন বিশেষজ্ঞরা।