নীতা অম্বানীর অভিনব মেহন্দির নকশা। ছবি: সংগৃহীত।
বিয়ের অনুষ্ঠানে মেহন্দি পরার রেওয়াজ নতুন নয়। তা যদি হয় অম্বানী বাড়ির অনুষ্ঠান, তা হলে তো কথাই নেই। মুকেশ এবং নীতা অম্বানীর কনিষ্ঠ পুত্র অনন্তের বিয়ে উপলক্ষে ১০ জুলাই অম্বানী-আবাস 'অ্যান্টিলিয়া'য় বসেছিল মেহন্দির আসর। অম্বানী পরিবারের সকলেই যোগ দিয়েছিলেন সেই অনুষ্ঠানে। কিন্তু হাজার হাজার মানুষের ভিড়ে সকলের নজর কিন্তু ছিনিয়ে নিয়েছেন মুকেশ-পত্নী নীতা অম্বানী। তাঁর সাজপোশাক তো বটেই, এমনকি মেহন্দির নকশাতেও ছিল অভিনবত্ব। সেই ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে সম্প্রতি।
কনিষ্ঠ পুত্র অনন্তের বিয়েতে নীতার হাতে মেহন্দির নকশা দেখে বিস্মিত গোটা দেশ। বাইরের শত ব্যস্ততার মাঝেও নীতার কাছে সব সময়ে অগ্রাধিকার পেয়েছে তাঁর পরিবার। অম্বানী বাড়ির গৃহকর্ত্রী নীতা। ব্যবসায়িক কাজকর্ম দেখাশোনার পাশাপাশি সংসারের ইট, কাঠ, পাথরের হিসাবও রাখেন তিনি। নিজের পরিবার এবং পরিবারের প্রতিটি সদস্যের প্রতি যথেষ্ট আবেগ রয়েছে তাঁর। সেই আবেগ, অনুভূতির কথা মাথায় রেখেই নীতার হাতের মেহন্দির পরিকল্পনা করা হয়েছিল। নীতার এক হাতে ছিল কনিষ্ঠ পুত্র অনন্ত এবং পুত্রবধূ রাধিকার নাম। অন্য হাতে ছিল জ্যেষ্ঠ পুত্র আকাশ এবং পুত্রবধূ শ্লোকার নাম। নাতি-নাতনিরাও যে নীতার বড় আদরের! তাই তাদের নাম লেখাতেও ভোলেননি তিনি। কন্যা ঈশা, জামাই আনন্দ এবং স্বামী মুকেশ অম্বানীর নামও দেখা গিয়েছে মেহন্দির নকশার ভাঁজে।
দু’হাত জুড়ে ছিল ঐতিহ্যপূর্ণ মান্ডালা শৈলীর নকশা। হাতের তালুর একেবারে মধ্যিখানে শোভা পেয়েছে রাধা-কৃষ্ণের অবয়ব। নীতার পছন্দ অনুযায়ী তাঁর হাতে এই নকশা ফুটিয়ে তোলার দায়িত্ব পেয়েছিলেন মেহন্দি শিল্পী বীণা নাগদা। অনন্ত-রাধিকার বিয়ের দিন দুয়েক আগেই তাঁকে অ্যান্টিলিয়ায় প্রবেশ করতে দেখা গিয়েছিল। ভারতীয় ঐতিহ্য, ইতিহাস এবং পারিবারিক বন্ধনের গাথাই যেন উঠে এসেছিল নীতার মেহন্দির নকশায়।