অম্বানী বাড়ির নতুন বৌ রাধিকা মার্চেন্ট। ছবি: সংগৃহীত।
বিয়ে সম্পন্ন, এ বার বিদায়ের পালা! জীবনের ২৯ বছর যে বাড়িতে কাটিয়েছেন, নিজের সেই চেনা গণ্ডি ছেড়ে স্বামী অনন্ত অম্বানীর হাত ধরে শ্বশুরবাড়ির চৌকাঠ পেরোবেন রাধিকা মার্চেন্ট। অম্বানী বাড়ির ছোট বৌ। মুকেশ অম্বানী-নীতা অম্বানীর কনিষ্ঠ পুত্রবধূ। তিন মাস আগের প্রাক্-বিবাহ উদ্যাপন থেকে শুক্র-সন্ধ্যায় বিয়ে—প্রতিটি অনুষ্ঠানে রাধিকার সাজ নজর কেড়েছে। লাল-সাদা ‘পানেতর’ নকশার লেহঙ্গায় সেজে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন রাধিকা। নববধূকে সাজিয়েছিলেন পোশাকশিল্পী আবু জনি সন্দীপ খোসলা। গা-ভর্তি দিদিমার গয়না আর হাত জোড়া সাদা-লাল চূড়ায় সেজে অম্বানী বাড়ির বৌ হলেন রাধিকা। বিয়ের পালা সাঙ্গ। এ বার রাধিকা চললেন ‘অ্যান্টিলিয়া’য়। বিদায় পর্ব বিষাদের সুরে মোড়া হলেও, রাধিকার সাজ আবারও চর্চায়। অনেকের মতে, বিয়ের সাজের চেয়ে রাধিকাকে ঢের ভাল লাগছে বিদায়-বেশে।
এ বার আর সন্দীপ খোসলার পোশাক নয়, রাধিকার পরনে মণীশ মলহোত্রের নকশা করা লেহঙ্গা। এই সাজে রাধিকাকে নাকি রাজরানির মতো দেখাচ্ছে, ছবি প্রকাশ্যে আসতেই সমাজমাধ্যম সে কথাই বলছে। প্রাচুর্য তো আছেই, রাধিকার সাজে ঐতিহ্য আর সাবেকিয়ানার মেলবন্ধনের ছাপ। বেনারসি ব্রোকেড লেহঙ্গা আর ঠাসা কাজের সিল্কের ওড়নায় নতুন বৌ রাধিকার সাজে মুগ্ধ গোটা দেশ। ব্রোকেড সিল্কের ঘাগরায় রয়েছে সোনালি জরির আর পাথরের কাজ। গুজরাতি ঐতিহ্যকে তুলে ধরা হয়েছে এই পোশাকে। লেহঙ্গার সঙ্গে পিঠখোলা ব্লাউজে সোনার জরি দিয়ে ‘কারচোবি’ মোটিভ করা। বেনারসি সিল্কের দোপাট্টাতে আসল সোনার কাজ রয়েছে। এমন রাজকীয় বেশে সিঁথি পর্যন্ত ঘোমটায় ঢেকে শ্বশুরঘরে গেলেন রাধিকা।
বাপের বাড়ি ছেড়ে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার আগে বিয়ের বেশ ছেড়ে অন্য পোশাক পরলেও, গয়না বদলাননি রাধিকা। নতুন লেহঙ্গার সঙ্গে বিয়ের গয়না পরেছিলেন। সেই গলাজোড়া চোকার, মাথায় মাঙটিকা, হাতে হাতপদ্ম, কানে ভারী, লম্বা পোলকি দুল, দু’হাতে চুড়ি, বালা— সোনা, হিরে-জহরতে সেজে নতুন জীবনের পথে পা বাড়ালেন রাধিকা।