এবার পুজোয় কোন প্রদেশের শাড়ি কিনবেন? ছবি: সংগৃহীত।
পুজো আসতে বাকি আর ১৮ দিন। অনেকেরই কেনাকাটা শেষের পথে। পোশাক তৈরি করতে দেওয়ার কাজও সারা। তবে অনেকেই শেষ মুহূর্তে কেনাকাটা করেন। সপ্তাহান্তে একটা ছুটির দিন কেনাকাটা করতে যাবেন বলে ভাবলেও বৃষ্টি এসে তা মাটি করে দিচ্ছে। তবে কম সময়ে গুছিয়ে কেনাকাটা করতে গেলে জিনিস সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকা প্রয়োজন। হালফ্যাশনের ড্রেস, কুর্তি যা-ই কিনুন না কেন, লিস্টে শাড়ি তো থাকবেই। কিন্তু দোকানে গিয়ে এত শাড়ির ভিড়ে চোখ ধাঁধিয়ে যায়। কোন শাড়ি কিনবেন, তা বুঝতে পারেন না। তাই কেনার আগে দেখে নিন কোন প্রদেশের কোন শাড়ি থাকতে পারে তালিকায়।
১) আসাম
আসাম বিখ্যাত তার মুগা সিল্কের জন্য। গুটি থেকে তৈরি সোনালি রেশম এবং সুতো দিয়ে তৈরি শাড়ির আভিজাত্য চোখে পড়ার মতো। তবে সিল্ক যদি সাধ্যের বাইরে মনে হয়, তা হলে আসামের সুতির শাড়িও কিনতে পারেন।
২) অরুণাচল প্রদেশ
বিভিন্ন উপজাতির মানুষদের হাতে তৈরি শাড়িও ভারতের ঐতিহ্য। অরুণাচলের আপাতানি আদিবাসীদের করা সুতোর ‘ব্যাকস্ট্র্যাপ’ কাজই এই প্রদেশের আভিজাত্য। চাইলে এ বার পুজোয় তেমন একটি শাড়ি সংগ্রহে রাখতেই পারেন।
৩) বিহার
বিহারের ভাগলপুরের তসর বা সিল্ক অনেকেই পছন্দ করেন। কারণ, এই জায়গার সিল্ক খুব একটা চকচকে নয়। সিল্কের এই ম্যাট লুকের জন্যই ভাগলপুর বিখ্যাত।
৪) গুজরাট
গুজরাটের কচ্ছ বিখ্যাত তার বাঁধনি কাজের জন্য। এ ছাড়া আজরাখ, পটোলা, মোডাল সিল্কও ইদানীং বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সিল্ক যদি কিনতে না চান, তবে সুতির শাড়িও কিনতে পারেন।
৫) কর্নাটক
শাড়ির আঁচল কিংবা পাড়ে চেক্স কাজ ফ্যাশনে নতুন নয়। কিন্তু আপনার সংগ্রহে একটিও নেই। তা হলে এ বার পুজোয় কর্নাটকের ইক্কল শাড়ি কিনতেই পারেন। ইক্কল বিখ্যাত শাড়িতে ‘চেক্স’-এর ব্যবহারের জন্য। ইক্কল সিল্ক, সুতি বা লিনেন— সবই পাওয়া যায়। রুচি, পছন্দ এবং বাজেট বুঝে কিনে ফেললেই হল। তা ছাড়া সাবেকি মাইসুরু সিল্ক, কোয়ম্বত্তূর সিল্ক তো আছেই।
৬) কেরল
গুচ্ছের দক্ষিণী সিনেমা দেখে দেখে সোনালি পাড়ের সাদা শাড়ির প্রতি বিশেষ টান অনুভব করেন অনেকেই। কেরলে যা কাসাভু নামে বিখ্যাত। মালায়ালি সংস্কৃতিতে বিয়ের বিশেষ পোশাক হিসাবে কনেরা এই শাড়ি পরে থাকেন। তবে ইদানীং সব অনুষ্ঠানেই এই শাড়ি পরার চল শুরু হয়েছে।
৭) মধ্যপ্রদেশ
পুজোয় বৃষ্টি বা গরম যা-ই থাকুক না কেন, এক দিন একটু জমকালো সাজ তো থাকবেই। সে দিনের জন্য বেছে নিতে পারেন অন্ধ্রপ্রদেশের চান্দেরি শাড়ি। সিল্ক এবং জরির কাজের জন্য চান্দেরি বিখ্যাত। এ ছাড়া, মাহেশ্বরী সিল্কও রয়েছে তালিকায়।
৮) মহারাষ্ট্র
শাড়িতে রং-বেরঙের মিনাকারী কাজ পছন্দ করেন অনেকেই। মহারাষ্ট্রের পৈঠানি শাড়ির বিশেষত্ব হল তার এই মিনেকারি কাজ। পাড় এবং আঁচলে জরির সঙ্গে কখনও ময়ূর, কখনও পদ্ম কিংবা কখনও টিয়াপাখির নকশায় মিনে কাজ দেখলে চোখ জুড়িয়ে যাবেই।
৯) পঞ্জাব
পঞ্জাবের হলুদ সর্ষে খেতের মতোই উজ্জ্বল এই প্রদেশের ফুলকারি কাজ। শাড়ি, দোপাট্টা, শাল কিংবা জুতি— সবেতেই দেখা যায় এই ফুলকারি কাজ। তবে অন্যান্য প্রদেশের শাড়ির তুলনায় ফুলকারি কাজ একটু ভারী হয়। তাই শাড়ির কাপড় হালকা হওয়াই বাঞ্ছনীয়।