যে বয়সেই পাক ধরুক, সাদা চুল রাখতে না পসন্দ অনেকেরই। প্রতীকী ছবি।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্রিয়াকলাপ একটু কমজোড়ি হয়ে পড়ে। তেমনই প্রকৃতির নিয়মে চুলেও পাক ধরে। একঢাল কালো চুলের মাঝে দু’-তিনটি রুপোলি রেখা দিলে মন খারাপ হয় বটে। তবে শুধু যে বয়স বাড়লে চুল হালকা পাক ধরে, তা কিন্তু নয়। মানসিক উদ্বেগ, কাজের চাপ, চুলের সঠিক যত্নের অভাবে কম বয়সেও কিন্তু কয়েক গোছা চুল পেকে যেতে পারে।
যে বয়সেই পাক ধরুক, সাদা চুল রাখতে না পসন্দ অনেকেরই। সাদা চুল কালো করার কোনও ঝামেলাও। বাজারে নানা সংস্থার হেয়ার ডাই কিনতে পাওয়া যায়। সেগুলি ব্যবহার করলেই নিমেষে চুলে ফিরবে কালো রং। তবে বাজারচলতি এই ধরনের চুল কালো করার প্রসাধনীতে নানা রকম রাসায়নিক পদার্থ মেশানো থাকে। সেগুলি চুলের ক্ষতি করে। এই ধরনের প্রসাধনীর অত্যধিক ব্যবহারে চুল ঝরে গিয়ে টাক পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। চুলের যত্নে তাই বিকল্প পথ বেছে নেওয়াই ভাল। ঘরোয়া উপায়েও পাকা চুল কালো করার কিছু উপায় রয়েছে। রইল তেমন কয়েকটি টোটকার খোঁজ।
চায়ের লিকার
চুলের প্রাকৃতিক কন্ডিশনার। এক কাপ জলে চায়ের পাতা দিয়ে কিছু ক্ষণ ফুটিয়ে নিন। তার পর ঠান্ডা হয়ে এলে ভাল করে ছেঁকে নিন। ঠান্ডা করা এই লিকার চা চুলে ঢেলে কয়েক মিনিট রেখে দিন। মিনিট পাঁচেক পর শ্যাম্পু করে নিন। তবে এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করুন, যাতে কোনও ক্ষার নেই। শ্যাম্পু করা হয়ে গেলে কন্ডিশনার দিয়ে ধুয়ে নিন চুল। কয়েক মাস এমন করতে থাকলে ধীরে ধীরে রং ফিরবে চুলে।
নারকেল তেল-লেবুর রস
রূপচর্চায় এই দু’টি উপকরণের জুড়ি মেলা ভার। ৩ টেবিল চামচ নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন ২ চামচ লেবুর রস। এই মিশ্রণটি তেলের মতো করে চুলে মেখে নিন। কিছু ক্ষণ পর দু’হাত দিয়ে ভাল করে মালিশ করুন। তার পর শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার দিয়ে ধুয়ে ফেলুন চুল। উপকার পাবেন।
আমলকি
নারকেল তেলে কাঁচা আমলকি ফেলে সেই তেল ফুটিয়ে নিন। আবার আমলকি থেঁতো করেও মিশিয়ে রাখতে পারেন নারকেল তেলে। তেল ঠান্ডা হলে ভাল করে মাথায় ও চুলে মেখে নিন। আধ ঘণ্টা রাখার পর ভাল করে শ্যাম্পু করে নিন। কন্ডিশনার দিতে ভুলবেন না। সপ্তাহে তিন-চার দিন এই মিশ্রণ ব্যবহার করুন।