উৎসবের ভিড়ে নজর কাড়তে ত্বকে চাই জেল্লা। প্রতীকী ছবি।
শীত কিংবা গ্রীষ্ম— ত্বকের ধরন তৈলাক্ত হলে সমস্যা পিছু ছাড়তে চায় না। ব্রণ, র্যাশ, জ্বালা ভাব তো লেগেই রয়েছে। শীতকালে তৈলাক্ত ত্বক আর্দ্রতা হারায়। ত্বক নিজস্ব জেল্লা হারায়। ঔজ্জ্বল্য কমতে থাকে। অথচ এই শীতকালেই উৎসবের মরসুম। বিয়েবাড়ি, বড়দিন তো রয়েছেই। উৎসবের ভিড়ে নজর কাড়তে ত্বকে চাই জেল্লা। তার জন্য বাজারচলতি প্রসাধনী ব্যবহারের চেয়ে ঘরোয়া কিছু ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন। রইল তেমন কয়েকটি ফেসপ্যাকের সন্ধান।
কমলালেবু আর চন্দন
শরীরের জন্য তো বটেই ত্বকের জন্য কম উপকারী নয় ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ কমলালেবু। ত্বকের গভীরে গিয়ে ময়লা পরিষ্কার করে এই ফলটি। ত্বকের কোষে জমে থাকা ময়লা বাইরে বার করে দিতেও কমলালেবুর ভূমিকা অপরিহার্য। তৈলাক্ত ত্বকে সমস্যা লেগে থাকে সারা বছর। শীতেও তার অন্যথা হয় না। কমলালেবুর সঙ্গে চন্দন মিশিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন তৈলাক্ত ত্বকের উপযুক্ত ফেসপ্যাক। একটি পাত্রে ২ টেবিল চামচ কমলালেবুর রসের সঙ্গে মিশিয়ে নিন চন্দনের গুঁড়ো। এ বার মিশ্রণটি ত্বকে ভাল করে লাগিয়ে নিন। ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়বে।
বেসন এবং হলুদ
ত্বকের যত্নে এই দু’টো উপকরণই সমান গুরুত্বপূর্ণ। আপনার ত্বক যদি তৈলাক্ত হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে শীতকালে ত্বকের যত্ন বাড়তি সতর্কতা নেওয়া জরুরি। একটি পাত্রে আধ কাপ বেসন, এক চিমটে হলুদ এবং সামান্য দুধ মিশিয়ে একটি মিশ্রণ বানিয়ে নিন। স্নান করতে যাওয়ার আগে ত্বকে ভাল করে লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে এলে ধুয়ে নিন। রোজ না হলেও সপ্তাহে অন্তত দু’-তিন দিন এটি ব্যবহার করতে পারেন। উপকার পাবেন।
গাজর এবং মধু
শীতকালে বাজার ছেয়েছে যে মরসুমি সব্জিগুলিতে, তার মধ্যে অন্যতম গাজর। শরীর আর্দ্র রাখার পাশাপাশি ত্বকের যত্নেও গাজরের ভূমিকা কম নয়। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য গাজর খুবই উপকারী। মিক্সিতে গাজরের টুকরোগুলি ঘুরিয়ে নিয়ে একটি থকথকে মিশ্রণ তৈরি করুন। তাতে মধু মিশিয়ে নিন। এ বার এই মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে কিছু ক্ষণ রেখে দিন। কয়েক দিন ব্যবহারে ত্বকে আসবে ঔজ্জ্বল্য।