ধুঁধুল বা তরুলের পরিবর্তে এমন সব ‘লুফা’ ব্যবহাররে চল হয়েছে এখন। ছবি- সংগৃহীত
স্নানের সময়ে গা ঘষার জন্য বাজার থেকে ধুঁধুল বা তরুলের শুকনো জালি কিনে আনা হত। নতুন অবস্থায় সেই জালি ব্যবহার করলে সারা গা ছড়ে যেত। তবে সে সব এখন অতীত। বাজারে এখন নানা রঙের, বিভিন্ন আকারের ‘সিন্থেটিক’ লুফা বা জাল পাওয়া যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্নানের সময়ে এই বস্তুটি ব্যবহার করেই ত্বকের লাবণ্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ফিরিয়ে আনতে কী ভাবে ব্যবহার করবেন লুফা?
১) বাজারে বিভিন্ন মান এবং আকারের লুফা পাওয়া যায়। কেউ আবার হাতে দস্তানার মতো গলিয়ে নিয়েও লুফা ব্যবহার করেন। তবে আপনার ত্বকের জন্য কী ধরনের জালি বেছে নেবেন, তা নির্ভর করবে আপনার ত্বকের ধরনের উপর।
২) হাতে সময় বেশি নেই। তাই গায়ে জল ঢেলেই শুকনো অবস্থায় জালি ঘষতে শুরু করলে ত্বকের উপর ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যবহার করার আগে লুফা অবশ্যই গরম জলে ভিজিয়ে নিতে। কারণ, গরম জলে পড়লে লুফার ফাইবারগুলি নরম হয়ে যায়। ফলে ত্বকে কেটে ছড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দূর করে।
৩) জালি ভিজিয়ে তার মধ্যে তরল সাবান দিন। তার পর দু’হাত দিয়ে ঘষে নিয়ে তা গায়ে ঘষতে শুরু করুন। তবে তরল সাবান কেনার আগেও ত্বকের ধরন বুঝে কিনবেন।
৪) গায়ের জোরে ঘষতে থাকলে ত্বকের উপর কেটে ছড়ে যেতেই পারে। কিন্তু ত্বক পরিষ্কার হবে না। আবার দেহের সব জায়গায় সমান জোর দেওয়া যায় না। যেমন— পা, গোড়ালিতে যতটা জোর দেওয়া যায়, তুলনায় নরম দেহের অন্যান্য অংশে তত জোর দেওয়া যায় না।
৫) লুফা দিয়ে ঘষে নেওয়ার পর গা ভাল করে পরিষ্কার করে নেওয়াও জরুরি। দেহের কোনও অংশে সাবানের ফেনা লেগে থাকলে, তা শুকিয়ে পরবর্তীকালে সেখান থেকে ছাল উঠতে পারে।