উৎসবের পোশাকে পরিবেশ সচেতনতার ডাক। ছবি: সংগৃহীত।
তরুণ প্রজন্মের পছন্দে ঢুকে পড়ে ‘ইকো ফ্রেন্ডলি ফ্যাশন’ এখন ক্রমশই ট্রেন্ডিং। পোশাকশিল্পীরা বলছেন, পোশাকে পরিবেশবান্ধব উপকরণ ব্যবহারের পাশাপাশি উৎপাদন ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক সম্পদের অপচয় এড়ানো, ক্ষতিকর রাসায়নিক যুক্ত কাঁচামাল ব্যবহার না করা, বর্জ্য পদার্থ পুনর্ব্যবহারের মতো ব্যবস্থা গড়ে দিচ্ছে পরিবেশ সচেতন ফ্যাশনের ধারা। অনলাইন শপিং সাইট বা সমাজমাধ্যমে জামাকাপড় রিসাইক্লিং সংক্রান্ত অজস্র ভিডিয়োই তার প্রমাণ। সম্প্রতি এই সংক্রান্ত ইনস্টাগ্রামের একটি ভিডিয়ো নেটাগরিকদের বেশ নজর কেড়েছে। ফেলে দেওয়া চটের বস্তা দিয়ে পোশাক বানিয়ে সকলকে চমকে দিয়েছেন এক পোশাক বিক্রেতা, ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিয়ো।
ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে পোশাক বিক্রেতার পরনে চটের বস্তা দিয়ে তৈরি পোশাক। রাত পোহালেই ইদ। আর সেই উপলক্ষেই নিজেদের দোকানে চটের বস্তার তৈরি কুর্তা-পাজামা বিক্রি করছেন বিক্রেতা। পোশাকের নাম দিয়েছেন ‘গোনি কুর্তা’। পোশাকটি পুরোটাই তৈরি চট দিয়ে, এমনকি কুর্তার বোতামটিও তৈরি হয়েছে চট দিয়েই। মুম্বাইয়ের ইন্দ্রা মার্কেট স্টেশন রোডের এই দোকানটির নাম ‘ফ্যাশন গ্যালক্সি’। কেবল দোকানে গিয়েই নয়, পছন্দ হলে আপনি অনলাইনেও এই বস্তা দিয়ে তৈরি কুর্তা-পাজামার সেটটি অর্ডার করতে পারেন।
ইদানীং অর্গ্যানিক কটন বা লিনেনের পোশাকের চাহিদা তৈরি হয়েছে। এই দু’টিই উদ্ভিজ্জ ফাইবার থেকে তৈরি এবং পরিবেশবান্ধব। পরিবেশবান্ধব উপকরণ হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে বিশেষ ভাবে তৈরি সিল্ক, উল, পুনর্ব্যবহারযোগ্য পলিয়েস্টার বা নাইলনের মতো উপকরণও। সে সব কিনছেনও ক্রেতারা। নেটমাধ্যমের সৌজন্যে বড় শহরগুলিতে তো বটেই, ছোট শহর বা শহরতলিতেও ক্রমশ পরিচিতি বাড়ছে পরিবেশবান্ধব ফ্যাশনের। দেশ-বিদেশের ফ্যাশন শোগুলিতে চট দিয়ে তৈরি পোশাক পরে মডেলদের হাঁটতে দেখা গিয়েছে আগেই, তবে এ বার আমজনতার ফ্যাশনেও চোখে পড়ছে চটের ব্যবহার। ইদের ফ্যাশনে থাকুক পরিবেশ সচেতনতার ছোঁয়া— এমনই বার্তা দিলেন মুম্বইয়ের এই পোশাক বিক্রেতা।