কেশ পরিচর্যায় প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহার করা হয় ভৃঙ্গরাজ। ছবি- প্রতীকী
ঘন কালো চুল পাওয়ার আশা প্রায় সকলেরই থাকে। তাই বন্ধু, আত্মীয়, পাশের বাড়ির কাকিমা, যে যা বলেছেন, সবই এক বার করে চুলে মেখে ফেলেছেন। কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হয়নি। চিন্তা নেই, আয়ুর্বেদেই লুকিয়ে রয়েছে সমস্যার সমাধান। কেশ পরিচর্যায় প্রাচীন কাল থেকেই ব্যবহার করা হয় ভৃঙ্গরাজ। আয়রন, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম-সহ আরও বিভিন্ন উপাদানে সমৃদ্ধ ভৃঙ্গরাজকে তাই ‘ভেষজের রাজা’ বলা হয়। মাথার ত্বকে শুষ্কতা, অকালপক্বতা খুশকি দূর করতে ভৃঙ্গরাজ অব্যর্থ।
নতুন চুল গজাতে
মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে তোলে ভৃঙ্গরাজের তেল। যা নতুন চুল জন্মানোর পরিপন্থী। মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পেলে, চুলের ফলিকলগুলিও উদ্দীপ্ত হয়। সপ্তাহে দু’দিন মাথার তালুতে মালিশ করুন ভৃঙ্গরাজ তেল।
খুশকি থেকে মুক্তি পেতে
মাথার ত্বক যদি স্পর্শকাতর হয়, তা হলে ভৃঙ্গরাজ তেল আপনার চুলে ম্যাজিকের মতো কাজ করবে। ভৃঙ্গরাজের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল গুণ শুধু খুশকি রোধ করে না, মাথার ত্বকে যে কোনও প্রকারের সংক্রমণ রুখে দেয়।
চুল পড়া কমাতে
চুল পড়ার নানা বিধ কারণগুলির মধ্যে একটি হল মানসিক চাপ। ভৃঙ্গরাজ তেল মানসিক চাপ, উত্তেজনা প্রশমিত করে। এ ছাড়া বিভিন্ন ভিটামিন, খনিজ সমৃদ্ধ এই ভেষজ চুলের ডগা ফাটা এবং চুল ঝরে পড়া রোধ করে। সবচেয়ে ভাল হয়, রাত্রে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মাথায় ভৃঙ্গরাজ তেল মাখলে। তবে ভৃঙ্গরাজ কিন্তু ঠান্ডা। তাই যাদের ঠান্ডা লাগার প্রবণতা আছে, তাঁরা দিনের বেলায় এই তেল ব্যবহার করবেন।