অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিত। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
অল্প বয়সে পোশাকের রং নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করেন অনেকেই। কিন্তু বয়সের চাকা ঘুরতে শুরু করলে সব দিকেই একটু সাবধানি হয়ে পড়েন তাঁরা। চামড়া কুঁচকে যায়, চুলে পাক ধরে। শরীরের সঙ্গে সঙ্গে মনের রংও ফিকে হতে শুরু করে অনেকের। তাই সাজগোজে খুব একটা নজর দেওয়া হয় না। সেই মানসিকতা থেকেই গাঢ় রঙের পোশাক এড়িয়ে চলেন বার্ধ্যকের দিকে এগিয়ে চলা মহিলারা। কিন্তু যাঁরা সেই চেনা ছকে বিশ্বাসী নন, তাঁদের ‘সাহসী’ তকমাও জোটে।
বয়স যে নিছক সংখ্যা মাত্র, তা তিনি বার বার প্রমাণ করেছেন। কখনও কাজে, কখনও আবার সাজে। এ দিকে খাতায়কলমে ‘প্রবীণ নাগরিক’ হতে আর মাত্র কয়েক বছর বাকি। তবে অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিতকে দেখে সে কথা বোঝার উপায় নেই। সম্প্রতি গাঢ় লাল রঙের শাড়ি পরা কিছু ছবি তিনি পোস্ট করেছেন সমাজমাধ্যমে। যা দেখে এখনও নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলের হৃদয় ‘ধক ধক’ করে ওঠে।
ছবিতে দেখা গিয়েছে, অভিনেত্রীর পরনে রয়েছে গাঢ় লাল রঙের ভেলভেটের একটি শাড়ি। তার দু’প্রান্ত জুড়ে সোনালি রঙের এমব্রয়ডারির ফুলেল নকশা। তার সঙ্গে মানিয়ে শ্যাম্পেন, অর্থাৎ হালকা সোনালি রঙের হাতকাটা, ‘ব্যাকলেস’ ব্লাউজ় বেছে নিয়েছেন মাধুরী। তাঁর এই সাজের নেপথ্যে ছিলেন পোশাকশিল্পী জুটি শ্যামল এবং ভূমিকা।
লাল রঙের মায়ায় মাধুরী। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
মাধুরীর সাজেও ছিল চমক। সোনালি সাজের সঙ্গে সোনার বদলে অভিনেত্রী বেছে নিয়েছিলেন, ‘সফেদ’ মুক্তোর চোকার। গয়নার মাঝে ছিল হিরের ফুলকারি লকেট। হারের সঙ্গে মানাসই হিরের এক জোড়া দুলও ছিল কানে। তবে মেকআপের বিষয়ে মাধুরী সচেতন ছিলেন, কিন্তু তা বয়সের জন্য নয়। পোশাকের জাঁকজামক যদি বেশি হয়, সে ক্ষেত্রে খুব ভারী মেকআপ ভাল দেখায় না। তাই একেবারে হালকা বেস, চোখে মায়াবী লাইনারের টান, মাস্কারার পরত, ঠোঁটে ন্যুড লিপস্টিক এবং গালে লালচে আভা ছড়ানো ‘ডিউয়ি’ মেকআপ বেছে নিয়েছিলেন তিনি।