কৃতির ঝকঝকে ত্বকের অনুরাগী অনেকেই। ছবি: সংগৃহীত।
বলিপাড়ার কন্যেরা ফিটনেসের পাশাপাশি ত্বকের যত্নেও যে সমান সচেতন, কৃতি শ্যানন তার অন্যতম উদাহরণ। কৃতির ঝকঝকে ত্বকের অনুরাগী অনেকেই। তবে এমন ত্বক পাওয়া সহজ নয়। বহু সাধ্য-সাধনার ফলে কৃতির মতো জেল্লাদার ত্বকের অধিকারী হওয়া যায়। রূপচর্চায় কৃতি সব সময় অত্যন্ত সচেতন থাকেন। বাজারচলতি প্রসাধনীর উপর তিনি ভরসা করেন না একেবারেই। বেশ কিছু সাক্ষাৎকারে এ কথা স্বীকার করেছেন নিজেই। অনেকেরই বিশ্বাস, বাজারচলতি কিছু প্রসাধনী ব্যবহার করলেই কয়েক দিনের মধ্যেই ত্বকের সব সমস্যার ইতি ঘটবে। তবে এই ধারণা একেবারেই ঠিক নয় বলে মত কৃতির। নায়িকার পরামর্শ, বাজারচলতি প্রসাধনীর চেয়ে ঘরোয়া টোটকায় ভরসা রাখা জরুরি। তা হলে সুফল পাওয়া না গেলেও অন্তত অপকার কিছু হবে না।
কৃতির রূপচর্চার পর্ব শুরু হয় সকাল থেকেই। ধাপে ধাপে নিজের ত্বকের যত্ন নেন তিনি। নায়িকা মনে করেন, সকাল হল রূপচর্চা করার সব থেকে উপযুক্ত সময়। সকালে কী ভাবে নিজের ত্বকের যত্ন নেন কৃতি?
১) সকালে ঘুম থেকে উঠে বরফের টুকরো সুতির নরম কাপড়ে মুড়ে ত্বকে বুলিয়ে নেন কৃতি। তার পর বরফগলা জলে মুখ ধুয়ে নেন। বরফ ত্বকে তাৎক্ষণিক জেল্লা আনে।
২) তার পর আসে ফেস প্যাকের পালা। ত্বক আর্দ্র রাখে, এমন ফেস প্যাক ব্যবহার করেন তিনি। তবে এই প্যাক কিন্তু বাড়িতেই তৈরি করে নেন। ব্রণর সঙ্গে লড়াই করতেও ফেসপ্যাক ব্যবহার করেন তিনি।
৩) গ্রিন টি এবং ক্যাফিন দিয়ে একটি ফেসপ্যাক তৈরি করে চোখের তলায় লাগান। চোখের নীচের কালো দাগছোপ দূর করতে এই প্যাক সত্যিই বেশ কার্যকরী।
৪) কৃতির জেল্লাদার ত্বকের নেপথ্যে রয়েছে গোলাপজল। গ্লিসারিন এবং গোলাপজল একসঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে মাখেন তিনি। এই টোটকায় ত্বকে আসে বাড়তি জেল্লা।
৫) শেষ এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ হল সানস্ক্রিন। কৃতি সানস্ক্রিন মাখতে কখনও ভোলেন না। এমনকি, বাড়িতে থাকলেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন তিনি। সানস্ক্রিন ত্বকের যত্ন নিতে ভোলে না। ত্বক ট্যানমুক্ত থাকে।