Castor Oil for Wrinkle

রাসায়নিক দেওয়া ক্রিমের দরকার নেই, সাধারণ তেলেই গায়েব হবে মুখের বলিরেখা

ত্বকে বলিরেখার সমস্যা দূর করতে সাধারণ ‘সিটিএম’ অর্থাৎ শুধু ‘ক্লিনজ়িং’, ‘টোনিং’ এবং ‘ময়েশ্চারাইজ়িং’ যথেষ্ট নয়। ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা ধরে রাখতে গেলে প্রয়োজন বিশেষ একটি তেলের।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০২৩ ১৯:২২
Image of woman

ছবি: প্রতীকী

ত্বকে বলিরেখা পড়ার পর ‘অ্যান্টি রিঙ্কল’ ক্রিম মাখা শুরু করেন অনেকেই। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বলিরেখা আটকাতে বয়স ৩০ পেরোলেই ত্বকের যত্ন নেওয়া শুরু করা উচিত। তবে সকলের ক্ষেত্রেই যে একই নিয়ম খাটে, তা নয়। কার ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা কেমন, তার উপর নির্ভর করছে বলিরেখা পড়ার সময়। ত্বকের যত্নে সাধারণ ‘সিটিএম’ অর্থাৎ শুধু ‘ক্লিনজ়িং’, ‘টোনিং’ এবং ‘ময়েশ্চারাইজ়িং’ যথেষ্ট নয়।

Advertisement

ত্বকের প্রদাহ নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রয়োজন প্রদাহনাশকারী কোনও ক্রিম বা তেল। তবে অনেকেই রাসায়নিক দেওয়া প্রসাধনী ব্যবহার করতে চান না। এ ক্ষেত্রে চুলের যত্নে বহুল ব্যবহৃত ‘ক্যাস্টর অয়েল’ কিন্তু কাজে আসতে পারে। ক্যাস্টর অয়েলে উপস্থিত ‘রিসিনোলিক অ্যাসিড’ বলিরেখা দূর করার পাশাপাশি ত্বককে মসৃণ করতেও সাহায্য করে। ত্বকে কোনও রকম সংক্রমণ হলে, তা-ও প্রতিরোধ করতে পারে এই তেল। শোনা যায়, মিশরের রানী ক্লিওপেট্রার সৌন্দর্যের নেপথ্যেও ছিল এই ক্যাস্টর অয়েল।

ত্বকের আর কোন কোন উপকারে লাগে এই ক্যাস্টর অয়েল?

১) ত্বকের গভীরে গিয়ে ত্বককে ভিতর থেকে আর্দ্র করে তোলে। চোখ, নাক এবং ঠোঁটের চারপাশের স্পর্শকাতর অংশগুলিতে বলিরেখা পড়ার প্রবণতা বেশি থাকে। তাই পুরো মুখে ক্যাস্টর অয়েল না মাখলেও নির্দিষ্ট এই অঞ্চলগুলিতে মাখা যেতে পারে।

২) ক্যাস্টর অয়েল আসলে এক প্রকার ফ্যাটি অ্যাসিড। যা ত্বকে কোলাজেন উৎপাদনের হার বাড়িয়ে তোলে। ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। ফলে ত্বকের ক্রমাগত সঙ্কোচন এবং প্রসারণের পরেও বলিরেখা পড়ার সম্ভাবনা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

৩) নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বকের কালচে দাগছোপ অনেকটাই হালকা করে দেয়। এই তেল উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ত্বকের জেল্লাও ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।

আরও পড়ুন
Advertisement