কৃতি শ্যানন এবং কিয়ারা আডবাণী। ছবি: সংগৃহীত।
প্রসাধনীর গুণে ত্বকে সাময়িক জেল্লা আসে। উজ্জ্বল হয় ত্বক। বাইরে থেকে ত্বক চকচক করলেও, তার মেয়াদ কয়েক দিনের। ত্বক ভিতর থেকে উজ্জ্বল করে তুলতে শুধু প্রসাধনী ব্যবহার করা যথেষ্ট নয়। এ দিকে ত্বকের সমস্যার শেষ নেই। ব্রণ, র্যাশ থেকে খসখসে ত্বক— একটার পর একটা লেগেই আছে। ত্বকের এই সব সমস্যার অবসান ঘটতে পারে রোজের কিছু যোগাসনের অভ্যাসে। ব্যায়াম ওজন কমাতে সাহায্য করে, প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, কিন্তু ত্বকেরও যে খেয়াল রাখে সেটা ভুলে গেলে চলবে না। ব্যায়ামের হাজার রকমফের আছে। কোন যোগাসনগুলি করলে টান টান হবে ত্বক, সেটা কি জানেন? না জানলেও ক্ষতি নেই। রইল সেই ব্যায়ামের সন্ধান।
ভুজঙ্গাসন
উপুড় হয়ে ম্যাটের উপর শুয়ে পড়ুন। পা সোজা করে রাখুন। দুই হাতের তালু কাঁধের পাশে মাটিতে রাখুন, কনুই থাকুক শরীর ঘেঁষে। আগুপিছু করে আরামদায়ক ভাবে নিজের অবস্থান ঠিক করে নিন। কপাল মাটিতে রেখে চোখ বন্ধ করুন। ধীরে ধীরে শ্বাস নিন। হাতে ভর না দিয়েই মাথা এবং বুক উপরের দিকে তুলুন। কিছু ক্ষণ এই ভঙ্গিতে থেকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় আসুন।
বালাসন
হাঁটু মুড়ে গোড়ালির উপর বসুন। এ বার দুই হাত প্রসারিত করে পেট মুড়ে সামনের দিকে ঝুঁকে যান। বুক যেন ঊরু স্পর্শ করে। মাথা মাটিতে ঠেকিয়ে রাখুন। শ্বাস স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করুন। নিয়মিত এই আসনগুলি করলে উপকার পাবেন।
পশ্চিমোত্তাসন
সামনের দিকে পা ছড়িয়ে বসুন। পায়ের পাতার অভিমুখ রাখুন আপনার দিকে। শিরদাঁড়া সোজা রাখুন। এ বার শ্বাস নিন। দু’টি হাত একসঙ্গে মাথার উপর সোজা করে তুলুন। এর পরে শ্বাস ছাড়ুন। এ বার আস্তে আস্তে সামনের দিকে ঝুঁকুন। দু’টি হাত গোড়ালি পর্যন্ত পৌঁছলে একটির কব্জি দিয়ে আর একটি ধরে রাখুন। মাথা রাখুন হাঁটুতে। এর পর শ্বাস ছাড়ুন। খেয়াল রাখুন, শিরদাঁড়া যেন সামনের দিকে প্রসারিত থাকে। শ্বাস নিন। এর পরে আস্তে আস্তে দু’টি হাত সরিয়ে মাথার উপর নিয়ে গিয়ে শ্বাস ছাড়ুন। এ বার হাত দু’টি নামিয়ে নিয়ে আগের ভঙ্গিতে ফিরে যান।