প্রতীকী ছবি
অক্টোবর যেমন উৎসবের মাস, তেমনই এ মাসের শেষ থেকেই শীত ঢোকে বঙ্গে। আবহাওয়ার পরিবর্তনে ফলে শরীরের সঙ্গে সঙ্গে প্রভাব পড়ে ত্বকেও। বাতাসের অত্যধিক আদ্রতা, তাপের ফলে ত্বক নিস্তেজ ও শুষ্ক হয়ে পড়ে। এ ছাড়াও অতিরিক্ত তৈলাক্ত ত্বকেও নানা রকম দাগ-ছোপ দেখা যায়। তবে এর থেকে নিস্তার পাওয়ারও কিছু চমকপ্রদ উপায় আছে। রইল সন্ধান—
বাইরের স্তরে মৃত কোষ জমে জমে ত্বক নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এক্সফোলিয়েশনের মাধ্যমে এর থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। যা কি না ত্বকের যাবতীয় সমস্যার উৎস। বাজারের চলতি সাবান বা স্ক্রাবার ব্যবহার করার ফলে সমস্যা আরও বেড়ে যায়। এই জন্য বাইরে থেকে ফিরে প্রথমেই মৃদু ক্ষার যুক্ত ক্লিনজিং দিয়ে মুখ পরিস্কার করে ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে ফেলা উচিত।
ত্বকের প্রতিটি ছিদ্রে ময়লা আর তেল জমে থাকে। এক্সফোলিয়েশনের মাধ্যমে এর থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। চারকোল ত্বকের এক্সফোলিয়েশনের জন্য আদর্শ। এতে ত্বক তাজা মসৃণ আর তরুণ দেখায়।
বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টের মধ্যে বাইরে উত্তাপ একটু বেশি থাকে। ত্বকের টান আর পোড়া ভাব কমাতে এই সময় না বেরোনোই ভাল। যদি একান্তই উপায় না থাকে, সে ক্ষেত্রে সুতির বা হাল্কা জামাকাপড় পরে বেরোনো উচিত। আর সঙ্গে অবশ্যই জলের বোতল রাখা প্রয়োজন। যাতে মাঝেমাঝেই জল খাওয়া যায়।
উজ্জ্বল ত্বক পেতে নজর রাখা উচিত খাওয়াদাওয়ার অভ্যাসেও। পালং শাক, গাজর, মটরশুঁটির প্রচুর পরিমাণে শাকসব্জি খাওয়া উচিত। স্বাস্থ্যকর ত্বকের জন্য দিনে অন্তত ৭-৮ লিটার জল পান করতে হবে।
বাইরে বেরোনোর আগে অবশ্যই ৩০ বা তার বেশি এসপিএফ যুক্ত সানস্ক্রিন লোশন মেখে বেরোনো দরকার। সানস্ক্রিন ক্ষতিকারক ইউভি রশ্মিকে প্রতিরোধ করে ত্বককে রক্ষা করে।