গয়না বাছাই করুন ব্লাউজ়ের কাট দেখে। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
পুজো আসতে আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। দুর্গাপুজো মানেই তো প্রচুর সাজগোজ। পোশাকের সঙ্গে রকমারি গয়না। সাজপোশাকের সঙ্গে মানানসই গয়না না পরলে কিন্তু মোটেই মানায় না। পুজোয় আপনি যত দামি শাড়ি, ব্লাউজ় আর গয়না পরুন না কেন, গয়না বাছাই করতে হবে বুঝেশুনে। সাজের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় হার বাছাই করতে। ডিজ়াইনার ব্লাউজ় কিংবা ক্রপ টপের সঙ্গে কোন ধরনের হার মানাবে, তা বুঝে উঠতে পারেন না অনেকেই। জেনে নিন, কোন ধরনের ব্লাউ়জ়ের কাটের সঙ্গে ঠিক কেমন ধরনের গয়না মানাবে।
১) বোটনেক ব্লাউজ় বা হাই রাউন্ড নেকলাইন ব্লাউজ়: শাড়ির সঙ্গে এমন ধরনের ব্লাউজ় পরলে গলায় হার না পরলেও চলে। এ ক্ষেত্রে যে হেতু ব্লাউজ়ের নেকলাইন গলার হাড়ের (কলার বোন) উপরেই থাকে তাই তার উপর ভারী হার পরে নিলে সাজটা বিগড়ে যেতে পারে। এমন ব্লাউজের সঙ্গে কানে বড় দুল, যেমন ঝুমকো কিংবা চাঁদবালী পরে নিতে পারেন। একান্তই নেকলেস পরার শখ হলে লম্বা হার পরতে পারেন।
২) ডিপ রাউন্ড বা স্কোয়্যার নেকলাইন: এই ধরনের ব্লাউজ় পরলে চোকার হারই সবচেয়ে ভাল মানায়। চেকারের সঙ্গে ঝোলা দুল নয়, ছোট কানপাশাই ভাল যায়। এই ধরনের নেকলাইনের সঙ্গে চোকার পরলে আপনাকে লম্বাও দেখায়।
৩) কলার দেওয়া ব্লাউজ়: শার্টের মতো টপ কিংবা ব্লাউজ়ের সঙ্গে আবার চোকার বেমানান লাগে। এমন ব্লাউজ় পরলে তার সঙ্গে লম্বা হারই ভাল মানায়। উজ্জ্বল রঙের কলার দেওয়া ব্লাউজ়ের সঙ্গে হালকা রঙের হ্যান্ডলুম শাড়ি আর অক্সিডাইজ়ের লম্বা হার— পুজোর দিনে সকালের সাজ একেবারে জমে যাবে।
৪) ডিপ ভি লাইন বা সব্যসাচী কাট ব্লাউজ়: এ ধরনের ব্লাউজ়ের সঙ্গে ভারী গলাভর্তি নেকলেস পরলেই বেশি ভাল লাগে। আপনি যদি বক্ষভাঁজ দেখানো ব্লাউজ় পরতে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন, তা হলে এমন ব্লাউজ়ের সঙ্গে চওড়া হার পরে ফেলতে পারেন, সঙ্গে ঝুমকো পরলেও মন্দ লাগবে না!
৫) হল্টার নেক বা গলাবন্ধ ব্লাউজ়: এই ধরনের ব্লাউজ়ের সঙ্গে চোকার বা নেকলেস মানায় না। এই ধরনের ব্লাউজ়ের সঙ্গে লম্বা ধাঁচের হারই বেশি ভাল মানায়।
৬) স্ট্রাপলেস নেকলাইন: টি টপ কিংবা ব্লাউজ়ের সঙ্গে শাড়ি পরার চল এখন ফ্যাশনে ইন। পুজোয় সেই ধরনের ব্লাউজ় পরলে তার সঙ্গে খুব জমকালো কিংবা ভারী গয়না পরবেন না। বদল পরতে পারেন সরু চোকার নেকলেস, কিংবা একটা চেনের সঙ্গে ছোট পেনডেন্ট।