চোখের তলায় কালি পড়ছে কেন? ছবি: সংগৃহীত।
শরীরে ঠিক মতো জলের জোগান থাকলে ত্বক স্বাভাবিক ভাবেই আর্দ্র থাকে। আলাদা করে প্রসাধনী মাখার প্রয়োজন পড়ে না। তবে, চোখের চারপাশের ত্বক স্পর্শকাতর। তাই ক্ষতির সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। হাতের তালু দিয়ে চোখ রগড়ালেই চোখের চারপাশে রক্তজালিকা ভেসে ওঠে। বেশি চাপ দিলে কেটেছড়েও যেতে পারে। ত্বকের ফাইবার নষ্ট হলে চোখের তলায় ফোলা ভাব কিংবা চামড়া ঝুলে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। কাঁদলেও চোখের চারপাশ শুষ্ক হয়ে পড়ে। তাই ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখা প্রয়োজন।
রাগ, অভিমান, শোক, আনন্দের মতো অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ বেশি হয় চোখে। বিভিন্ন রকম অনুভূতির সঙ্গে চোখের অভিব্যক্তিও বদলে যায়। তার প্রভাব পড়ে চোখের চারপাশের ত্বকে। ফলে সেই অংশের চামড়া সহজেই কুঁচকে যায়, বলিরেখা পড়ে। চোখের তলায় কালি পড়ার একটি কারণ হতে পারে এই আর্দ্রতার অভাব। এ ছাড়া ধোঁয়া, ধুলো, দূষণ, ধূমপানের মতো অভ্যাসও চোখের চারপাশের ত্বক শুষ্ক করে তুলতে পারে।
চোখের চারপাশের ত্বক আর্দ্র রাখতে কী কী নিয়ম মেনে চলতে হবে?
চোখের চারপাশের ত্বক আর্দ্র রাখতে শরীরে জলের ঘাটতি হতে দেওয়া চলবে না। চোখের তলার কালি বা ফোলাভাব দূর করতে বাজারে সিরাম, প্যাচ, মাস্কের মতো নানা ধরনের প্রসাধনী পাওয়া যায়। তবে ত্বকের চিকিৎসকেরা বলছেন, এত ঝক্কি না নিয়ে মুখে যে সাধারণ ময়েশ্চারাইজ়ার মাখেন, তা দিয়েই এই সব সমস্যা বশে রাখা যায়। দিনে অন্তত দু’বার হালকা হাতে চোখের চারপাশে সাধারণ ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজ়ার মাসাজ করলেই চোখের তলার কালচে ভাব বা বলিরেখা দূর করা যায়।