Body Polishing

কম খরচে বাড়িতে বসে নিজেই করা যায় বডি পলিশ, হবে সাঁলোর মতোই ভাল

সালোঁতে গিয়ে বডি পলিশিং করানো বেশ ব্যয়সাপেক্ষ। সময়সাপেক্ষেও বটে। সারা সপ্তাহ অফিস করে ছুটির দিনে আর পার্লারে যেতে ইচ্ছা করে না অনেকেরই। তবে খরচ এবং সময় দু’টোই বাঁচাতে বাড়িতেও কিন্ত বডি পলিশিং করতে পারেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০২৩ ০৮:১৪
Body Polishing.

বডি পলিশিং করালে ত্বকের মৃত কোষ উঠে গিয়ে ত্বক উজ্জ্বল দেখায়। —ফাইল চিত্র।

বর্ষার মরসুম হলেও গ্রীষ্মের অস্বস্তি কিন্তু এখনও যায়নি। আবার মাঝেমাঝে বৃষ্টি হয়ে আবহাওয়া মনোরম হয়ে যাচ্ছে। এমন ঋতুতে লো কাট কিংবা হাতকাটা পোশাক, পিঠখোলা গাউন বা কায়দার ব্লাউজ পরার আদর্শ মরসুম। তা ছাড়া, বর্ষার জলকাদা এড়াতে কেপরি কিংবা মিড লেংথ স্কার্টও আলমারি থেকে বেরোচ্ছে। তবে এ সব পোশাকে নিজেকে সাজাতে চাইলে ত্বকের বিশেষ যত্ন নেওয়া জরুরি। কিন্তু শুধু মুখে ফেশিয়াল করলেই চলবে না, গোটা শরীরেরও বাড়তি যত্ন প্রয়োজন। অনেকেই মাঝেমাঝে বডি পলিশিং করান। নিজেকে সুন্দর করে তুলতে এটাও অত্যন্ত জরুরি একটি ধাপ।

রাস্তার ধুলোবালি ত্বকের জৌলুস কেড়ে নেয়। রোদে ঝলসে যায় ত্বক। সঙ্গে মানসিক চাপ তো আছেই। সব মিলিয়ে ত্বক ক্লান্ত এবং ম্লান দেখায়। বডি পলিশিং করালে ত্বকের মৃত কোষ উঠে গিয়ে ত্বক উজ্জ্বল দেখায়। ফিরে আসে ত্বকের দ্যুতি। সালোঁতে গিয়ে বডি পলিশিং করানো বেশ ব্যয়সাপেক্ষ। সময়সাপেক্ষেও বটে। সারা সপ্তাহ অফিস করে ছুটির দিনে আর পার্লারে যেতে ইচ্ছা করে না অনেকেরই। তবে খরচ এবং সময় দু’টোই বাঁচাতে বাড়িতেও কিন্তু বডি পলিশিং করতে পারেন। রইল উপায়।

Advertisement

ড্রাই ব্রাশিং

বাড়িতে বডি পলিশ করলে প্রথমে ড্রাই ব্রাশিং দিয়ে শুরু করুন। বডি পলিশ করার নরম ব্রাশ বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। সেই ব্রাশ দিয়ে তলপেট থেকে বুক পর্যন্ত ওঠানামা করান। বেশ কয়েক বার এটা করলে ত্বকের মরা চামড়া নষ্ট দূরে চলে যায়। এর ফলে শরীরের রক্ত সঞ্চালনও ভাল হয়।

বডি স্ক্রাব

বডি পলিশিংয়ের পরবর্তী ধাপ হল বডি স্ক্রাব। দোকানে বিভিন্ন সংস্থার স্ক্রাবার কিনতে পাওয়া যায়। চাইলে সেটাও একটা কিনে নিতে পারেন। আবার বাড়িতেও বানিয়ে নিতে পারেন বডি স্ক্রাবার। ব্রাউন সুগার, নারকেল তেল, এসেনশিয়াল অয়েল দিয়েই স্ক্রাবার বানিয়ে নিন। তার পর সারা শরীরে ভাল করে মেখে হালকা হাতে মালিশ করুন। এতে একই সঙ্গে রক্ত সঞ্চালন ভাল হবে আবার ত্বকও উজ্জ্বল হবে।

ওয়ার্ম বাথ

স্ক্রাবিংয়ের পর ঈষদুষ্ণ জলে নিজেকে ভিজিয়ে নিতে হবে। জল হালকা গরম করে তাতে সৈন্ধব লবণ মিশিয়ে গায়ে ঢালুন। জল মুছবেন না। সিক্ত শরীরে ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। জল গায়ে শুকোনো জরুরি। সৈন্ধব লবণ ত্বক ভিতর থেকে পরিষ্কার করে। ত্বক সতেজ এবং সজীব করে তোলে।

ময়েশ্চারাইজার

শেষ ধাপ হল ময়েশ্চারাইজিং। ত্বকের আর্দ্রতা জরুরি। তাই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে বডি লোশন ব্যবহার করতে পারেন অথবা অলিভ অয়েল মাখতে পারেন। হাতে নিয়ে সারা গায়ে মেখে নিন।

আরও পড়ুন
Advertisement