রং, কন্ডিশনিং দুই-ই হবে। ছবি: সংগৃহীত।
রাসায়নিক দেওয়া রং ব্যবহার করতে পছন্দ করেন না বলে মাথায় হেনা মাখেন। পাকা চুল ঢাকতে হেনা বেশ ভালই কাজ করে। সঙ্গে চায়ের লিকার, কফি মিশিয়ে নিলে তা আরও ভাল ভাবে কাজ করে। কিন্তু প্রত্যেক সপ্তাহে হেনা করার ফলে মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে। দিনে দিনে চুলের মানও কেমন যেন খড়ের মতো হয়ে যাচ্ছে। এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই হেনার সঙ্গে ডিম, টক দই মিশিয়ে নেন। বাজারে এখন বিভিন্ন সংস্থার ক্রিম বেস্ড হেনা পাওয়া যায়। সেই সব প্রসাধনীর মধ্যেও রাসায়নিক থাকে। তাই এগুলি এড়িয়ে চলাই ভাল।
হেনার সঙ্গে টক দই মেশালে চুল রুক্ষ হয়ে যাওয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় ঠিকই। তবে যাঁদের মাথার ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত, তাঁদের জন্য আবার টক দই খুব একটা ভাল নয়। চুলে পর্যাপ্ত প্রোটিন জোগান দেওয়ার জন্য ডিম যথেষ্ট প্রয়োজনীয়। তবে ডিমের আঁশটে গন্ধের জন্য অনেকেই চুলে তা মাখতে চান না। তা হলে উপায়?
কেশচর্চা অভিজ্ঞরা বলছেন, পাকা কলাতেই সব সমস্যার সমাধান হবে। প্রথমে মিক্সিতে দু’টি কলা ভাল করে পেস্ট করে নিন। খেয়াল রাখবেন যেন কলা দলা পাকিয়ে না থাকে। প্রয়োজনে মিক্সিতে বাটার পর ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে নিতে পারেন। তার পর চায়ের লিকার, কফি, প্রয়োজন মতো মেহন্দি গুঁড়ো ভাল করে মিশিয়ে নিন। ঘন একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। ঘনত্ব বুঝে প্রয়োজনে চায়ের লিকার মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে। কয়েক ফোঁটা রোজ়মেরি অয়েল দিতে পারেন। সুন্দর গন্ধ বেরোবে। এ বার চুলে মেখে রাখুন এই হেনা। পাকা চুল রং করার প্রয়োজন না থাকলে আধঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। সেই দিন শ্যাম্পু করার প্রয়োজন নেই। পরের দিন মাইল্ড কোনও শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। খুব কোঁকড়ানো, রুক্ষ চুল হলে কন্ডিশনার মাখতে পারেন। তবে প্রয়োজন হবে না বলেই মনে হয়।