করিনা কপূরের ভুরু খানিকটা সরল রেখার মতো। ছবি : সংগৃহীত।
ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনের ভুরু আধভাঙা চাঁদের মতো। মাধুরী দীক্ষিতের বাঁকানো ধনুক। প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার ভুরু অনেকটাই মোটা আর গাঢ়, দীপিকা পাড়ুকোনের ভুরুতে আবার ছিলা না পরানো ধনুকের মতো হালকা ভাঁজ!
নায়িকাদের সামান্য ভ্রু-ভঙ্গিতে ভক্তকূল কতটা কাত হতে পারে, তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল দেবদাস ছবিতে ‘চন্দ্রমুখী’ মাধুরীর ভুরুর ওঠাপড়া নিয়ে হইচই দেখে। সৌন্দর্যবিদেরা বলছেন, বাস্তবেও মহিলা এবং পুরুষের মুখের আদল অনেকটাই পাল্টে দিতে পারে ভুরু।
ধনুকের মতো ভুরু
ভুরুর তুলনা টানতে বসে কবিরা বরাবরই ধনুকের উদাহরণ টেনেছেন। তবে সেই ধনুক-ভুরুও হয় দু’রকমের। এক, স্টিপ আর্চ। যা কি না ছিলা পরানো ধনুকের মতো অনেকটা বাঁকা। আর দুই, নরম্যাল আর্চ। যে ভুরুতে ধনুকের মতো হলেও হালকা ভাঁজ বিশিষ্ট। রূপটান শিল্পীরা বলছেন, চোখকে বড় দেখাতে হলে বা চোখে নাটকীয়তার ছোঁয়া রাখতে চাইলে ধনুকের মতো ভুরু হল সবচেয়ে বেশি মাননসই। গোল মুখকে এই ধরনের ভুরু ধারালো করে। মুখ সামন্য লম্বাটেও দেখায় ধনুক ভুরুতে।
গোলাকৃতি ভুরু
যদি চান আপনাকে নরম সরম দেখতে লাগুক তবে গোলাকৃতি ভুরু ভাল লাগবে। ওই ধরনের ভুরুতে বয়সও কিছুটা কম দেখায়। চৌকো মুখের ধারালো ভাব কমাতে চাইলে ভুরুকে গোল করে ট্রিম করাতে পারেন।
সরল রৈখিক ভুরু
করিনা কপূরের ভুরু খানিকটা সরল রেখার মতো। ভুরু পুরোপুরি সরলরৈখিক হয় না। তবে এই ধরনের ভুরুর শেষপ্রান্তের সামান্য অংশ ঠাড়া বাকি অংশে খুব একটা বাঁকা বা গোল ভাব থাকে না। লম্বাটে গড়নের মুখে সোজা ভুরু সবচেয়ে বেশি ভাল লাগে। তার কারণ সোজা ভুরু থাকলে মুখ কম লম্বাটে দেখায়।
আঁকশির মতো ভুরু
এই ধরনের ভুরুর ভঙ্গিমা অনেককেই দ্বিধায় ফেলতে পারে। এমন ভুরুতে ঢেউ তুলে কেউ তাকালে রাগ না দুষ্টুমি বোঝা মুশকিল। সাধারণত এমন ভুরু দেখতে লাগে ইংরেজি ‘এস’ অক্ষরের মতো। পানপাতার মতো মুখে মানাবে ভাল।
মোটা ভুরু
মোটা গাঢ় ভুরু আত্মবিশ্বাসের ভাষা বলে। মোটা ভুরু মুখমণ্ডলে একটা পরিপূর্ণতার ভাব আনে। একসঙ্গেই চোখের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে। যদি কপাল চওড়া হয় তবে মোটা ভুরু ভাল লাগবে।