চিয়া দিয়েই হোক রূপচর্চা। ছবি: সংগৃহীত।
বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের যত্ন নেওয়ার ধরনও বদলে যায়। মুখের অতিরিক্ত তেল, র্যাশ-ব্রণর সমস্যা নিয়ে নাজেহাল হতে হয় কৈশোর বা বয়ঃসন্ধিতে। আবার, একটু বড় হতে না হতেই চোখের তলায় কালচে দাগ। মধ্যবয়সে পৌঁছতেই বলিরেখা কিংবা জেল্লা হারানোর সমস্যা জাঁকিয়ে বসে। ত্বকের সমস্যা, বয়স অনুযায়ী সে সবের সমাধানও আলাদা হওয়ার কথা। তবে, অভিজ্ঞরা বলছেন, এ বিষয়ে একাই একশো হল চিয়া বীজ। শরীরচর্চা করেন যাঁরা, তাঁদের কাছে এই বীজ বেশ জনপ্রিয়। ওজন ঝরাতে, বিপাকহার ভাল রাখতে চিয়ার জুড়ি মেলা ভার। পাশাপাশি, ত্বকের যত্নেও কাজে আসে চিয়া বীজ। তাই দাম দিয়ে চিন, জাপান কিংবা কোরিয়ার নানা রকম প্রসাধনী না কিনে ব্যবহার করে দেখতেই পারেন চিয়া বীজ।
চিয়া বীজ ত্বকের ঠিক কোন কোন উপকারে লাগে?
১) চিয়া বীজে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান। যা ত্বকের প্রদাহজনিত সমস্যাগুলি দূর করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে যাঁদের ত্বক ভীষণ স্পর্শকাতর, যাঁদের মুখে ব্রণর উৎপাত বেশি— তাঁরা এই বীজ ভেজানো জল মাখতে পারেন। খেলেও উপকার পাবেন।
২) ভিটামিন ই, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর চিয়া বীজ ত্বককে পরিবেশগত দূষণ, ফ্রি র্যাডিক্যালের হাত থেকে রক্ষা করে। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখার পাশাপাশি, চিয়া বীজ মুখে বয়সের ছাপ পড়াও আটকে দিতে পারে।
৩) ত্বক স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে তুলতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের ভূমিকা রয়েছে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের একটি প্রাকৃতিক উৎস হল চিয়া বীজ। বয়স বাড়লেও ত্বকের টান টান ভাব ধরে রাখতে সাহায্য করে এই উপাদানটি।