চুলে পাক ধরা আটকানোর কিছু উপায় রয়েছে। ছবি: সংগৃহীত।
বয়স বাড়লে ত্বক কুঁচকে যায়। তেমনই পরিবর্তন আসে চুলের রঙেও। একটা-দু’টো করে গোটা চুলে পাক ধরে। কিন্তু তা সবটাই বয়সজনিত কারণে হয়। এমন অনেকেই আছেন, যাঁদের কম বয়সেও চুল পাকতে শুরু করেছে। ঘন,কালো চুল সৌন্দর্যের অন্যতম অঙ্গ। সেখানে পাকা চুল সৌন্দর্যের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। তবে চুলে পাক ধরা আটকানোর কিছু উপায় রয়েছে। সেগুলি জানা থাকলে অসুবিধা হবে না।
আমলকি
শরীরের যত্ন নেওয়া থেকে রূপচর্চা— আমলকির ভূমিকা অনবদ্য। আমলকিতে রয়েছে ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের মতো উপকারী উপাদান। যা চুলে পাক ধরা প্রতিরোধ করে। সেই সঙ্গে চুলও লম্বা করে। আমলকির রস চুলের গোড়ায় মাখলে উপকার পাবেন।
নারকেল তেল এবং লেবুর রস
নারকেল তেল চুলের যত্নে নিতে অত্যন্ত দক্ষ। নারকেল তেলের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে চুলে ভাল করে মেখে ৩০ মিনিট মতো অপেক্ষা করুন। তার পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। দ্রুত চুল পেকে যাওয়ার আশঙ্কা কমাবে এই ঘরোয়া টোটকা। চুলও বড় হবে এতে।
রোজ়মেরি তেল
চুলে পাক ধরা আটকাতে ব্যবহার করতে পারেন রোজ়মেরি তেল। মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। ফলে শ্যাম্পু করার আগে এই তেল ব্যবহার করলে চুল ভাল থাকবে। চুল দ্রুত পেকেও যাবে না। চুলের বৃদ্ধিও হবে।
মেথি
চুলের সমস্যা মেটাতে মেথির মতো উপকারী জিনিস সত্যিই কম আছে। মেথির ব্যবহারে বয়সকালেও কালো থাকে চুল। মেথি গুঁড়ো করে প্রথমে একটি মিশ্রণ বানিয়ে নিন। তার পর এই মিশ্রণটি চুলের গোড়ায় লাগিয়ে ৩০ মিনিট মতো রেখে দিন। মেথির ব্যবহারে চুল হবে ঝলমলে এবং শক্তিশালী।
বিটের রস
বিটে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ভিটামিন সি-র মতো উপকারী উপাদান। মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে এই ধরনের পানীয়ের জুড়ি মেলা ভার। চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করতে এবং কম বয়সেই চুল পেকে যাওয়ার প্রবণতা কমাতে এই পানীয় উপকারী।