চোখের চাপরাশের কালো দাগ উঠবে কী ভাবে? ছবি: সংগৃহীত।
মুখের জেল্লা যতই থাক, সৌন্দর্য মাটি করে দিতে পারে চোখের চারপাশে গোল দাগ। ঘুম না হলে, দুশ্চিন্তা চেপে বসলে এমনটা হয়েই থাকে। মুখের বা চোখের চারপাশের কালো দাগ তুলতে শসা এবং আলুর রস ঘরোয়া টোটকা হিসাবে কার্যকর অনেকেই জানেন। কিন্তু এই দুই উপকরণে কাজ না হলে, আর কী মাখতে পারেন?
ঠান্ডা টি-ব্যাগ: দিনভর খাটাখাটনির পর চোখেরও বিশ্রামের প্রয়োজন হয়। ত্বকের চর্চার সময় ফ্রিজে রাখা ঠান্ডা গ্রিন টি-ব্যাগ দুই চোখে দিয়ে কিছু ক্ষণ বিশ্রাম নিতে পারে। ইষদুষ্ণ জলে তা ডুবিয়ে প্রথমে চা বানিয়ে নিন। সেই টি-ব্যাগ ফ্রিজে ভরে রাখুন। তার পর তা ব্যবহার করুন। গ্রিন টিয়ে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে। এতে থাকা ক্যাফিন এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট কালচে ভাব দূর করতে সাহায্য করবে।
আমন্ড অয়েল এবং ভিটামিন ই: আমন্ড অয়েল বা কাঠবাদামের তেলের সঙ্গে ভিটামিন ই ক্যাপসুলে থাকা তরল মিশিয়ে তা চোখের চারপাশে ব্যবহার করতে পারেন। হালকা মালিশে রক্তসঞ্চালন ভাল হবে। তেল এবং ভিটামিন ই-এর গুণে বলিরেখা দূর হবে, কালচে ছোপ নির্মূল হবে। নিয়মিত মাসখানেক ব্যবহার করলেই তফাত বুঝতে পারবেন।
টম্যাটো এবং লেবুর রস: রোদের তাপে কালো হয়ে যাওয়া ত্বকে ঔজ্জ্বল্য ফেরাতে টম্যাটো বিশেষ কার্যকর। চোখের তলার কালি দূর করতেও টম্যাটোর রস মাখা যায়। এর সঙ্গে জুড়তে পারেন পাতিলেবুর রসও। টম্যাটোয় রয়েছে ভিটামিন এ, সি, কে, ফোলেট। টম্যাটো এবং পাতিলেবুর রস সম পরিমাণে মিশিয়ে চোখের চারপাশে লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দু’-তিন দিন তা ব্যবহার করতে পারেন।
চোখের চারপাশে কালো দাগের নানা কারণ হতে পারে। ঘুমের অভাব, ক্লান্তি, দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ, কোনও শারীরিক সমস্যা নেপথ্যে থাকতে পারে। প্রথমেই দেখা প্রয়োজন, কারণটা কি? তবে যদি ঘরোয়া উপায়ে সমাধান না হয় ত্বকের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। আধুনিক নানা ধরনের চিকিৎসা রয়েছে ডার্ক সার্কেল বা চোখের চারপাশের কালো দাগ তোলার জন্য।