মুখের মতো বাহুমূলেও স্ক্রাবিং করা জরুরি। ছবি- সংগৃহীত
হাত কাটা জামা পরে বাইরে বেরোতে লজ্জা করে বলে অনেকেই ইচ্ছা থাকলেও তা পরতে পারেন না। কারণ, দেহের এই অংশটি সবচেয়ে অবহেলিত। মুখ, হাত, পায়ের মতো বাহুমূলেরও আলাদা করে পরিচর্যার প্রয়োজন আছে। শুধু সুগন্ধি মেখে গন্ধ দূর করতেই পারেন, তবে সেই সুগন্ধির জন্যই বাহুমূলে কালচে দাগ হয়ে যাচ্ছে না তো?
কী কী করলে বাহুমূল থাকবে ঝকঝকে?
১) রোল-অন ব্যবহার করুন
বগলে ঘাম বেশি হয়, তাই সুগন্ধির বদলে অ্যালকোহল বিহীন রোল-অন ব্যবহার করুন। রাসায়নিকযুক্ত সুগন্ধি ব্যবহারের ফলে বাহুমূলে কালো দাগ পড়ে যায় অনেকেরই। এই দাগ কিন্তু সহজে উঠতে চায় না। তাই আগে থেকে সাবধান হয়ে যাওয়াই ভাল।
২) পরিষ্কার করুন
শীতকালে অনেকেই প্রতিদিন স্নান করেন না। কিন্তু স্নান করবেন না বলে, বাহুমূল পরিষ্কার করবেন না, তা হবে না। কাজে বেরোনোর আগে এবং ফিরে এসে প্রতিদিন হালকা গরম জলে স্নান করতেই হবে। একান্ত যদি স্নান করতে ইচ্ছা না করে তবে, গরম জলে তোয়ালে ভিজিয়ে বগল পরিষ্কার করে নিতে হবে।
৩) স্ক্রাবিং করুন
মুখের মতো বাহুমূলেও স্ক্রাবিং করা জরুরি। তবে স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বিশেষ ধরনের যে সব স্ক্রাবার পাওয়া যায়, তা ব্যবহার করতে পারেন। খুব ভাল হয় যদি ওয়াক্স করার আগে এই পদ্ধতি করতে পারেন।
৪) সুতির, হালকা পোশাক পরুন
ঠান্ডার সময়ে মোটা, গরমের পোশাক পরতেই হবে। তবে তার তলায় অবশ্যই হালকা সুতির জামা পরবেন। বিশেষ করে রাতে শুতে যাওয়ার সময়ে। হাওয়া চলাচল করে, এমন পোশাক পরলে বগলে ঘামের গন্ধ কম হবে। খেয়াল রাখবেন গায়ে যেন ঘাম না বসে।