শীতেও গোড়ালি থাকবে মসৃণ, মানতে হবে সহজ নিয়ম। ছবি: সংগৃহীত।
রুক্ষ, শুষ্ক শীতের আবহাওয়া ভীষণ ভাবে প্রভাব ফেলে আমাদের ত্বকেও। শুকনো ত্বকের পাশাপাশি যা সবচেয়ে বেশি চিন্তায় ফেলে তা হল পায়ের ফাটা গোড়ালি। বিয়েবাড়ি বা পার্টির জন্য যত সুন্দর করেই সাজুন না কেন সাজগোজ মাটি হয়ে যায় যদি জুতোর ফাঁক দিয়ে চোখে পড়ে যায় পায়ের ফাটা গোড়ালি। কিন্তু ব্যস্ততার জন্য সব সময় পার্লারে গিয়ে পেডিকিয়োর করানো সম্ভব হয় না। চিন্তা করবেন না। ঘরোয়া টোটকা মেনে চললে শীতে পা ফাটার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
কী সেই উপায়?
১) স্নানের সময় ভাল করে সাবান, পিউমিস স্টোন বা ধুধুল দিয়ে নিয়ম করে পা পরিষ্কার করুন। বাইরে থেকে বাড়িতে আসার পরই হালকা গরম জলে অল্প নারকেল তেল, সামান্য নুন দিয়ে পা ডুবিয়ে রাখুন। আলতো করে পিউমিস স্টোন দিয়ে ভাল করে পা পরিষ্কার করুন। এর পর শুকনো তোয়ালে দিয়ে পা মুছে নিন।
২) শীতকালে রাতে ঘুমোনোর আগে গোড়ালিতে ক্রিমের প্রলেপ দিতে হবে। তার পর মোজা পরে শুয়ে পড়ুন। কিছু দিনেই দেখবেন ফাটা গোড়ালির সমস্যা দূর হয়েছে।
৩) বাড়ি থেকে বার হলে পায়ে সব সময় সুতির মোজা পরুন। সঙ্গে পা ঢাকা জুতো। বাড়িতেও স্লিপারের সঙ্গে সুতির মোজা পরে থাকা ভাল।
৪) বাড়িতে কলা থাকলে সেটা দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন প্যাক। একটা কলা ভাল করে চটকে নিন। তার পর গোড়ালির ফাটা অংশে লাগিয়ে রাখুন। কলার খোসা দিয়ে মিনিট পাঁচেক ফাটা অংশটি ঘষে নিন। তার পর পর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দু’-তিন দিন করলে মিলবে সুফল।
৫) প্রধানত শুষ্ক বাতাসে পায়ের আর্দ্রতা কমে যাওয়ার জন্যই এর ত্বক ফাটতে শুরু করে। কিন্তু শুনতে আশ্চর্য লাগলেও সত্যি, আরও কিছু কারণে পা ফাটতে পারে। প্রয়োজনের তুলনায় জলপান কম হলে বা দীর্ঘ ক্ষণ গরম জলে স্নান করলেও পা ফাটার প্রবণতা বাড়ে। যাঁদের মধুমেহ রোগ আছে, তাঁদেরও পা ফাটার আশঙ্কা অনেক বেশি। তাই সে সব বিষয়ও সতর্ক থাকতে হবে।