কফি দিয়ে রূপচর্চা। ছবি: সংগৃহীত।
বৃষ্টিমুখর দিনে কফির কাপে চুমুক না দিলে ঘুম কাটতে চায় না। আবার বন্ধুদের আড্ডা হোক বা অফিসে কাজের বিরতি— কফি নেশায় আসক্ত অনেকেই। এক কাপ কফির গুণে মনমেজাজ ফুরফুরে হয়ে যায়। কফির কাপে চুমুক দিতে দিতেই ভাবছিলেন, পুজোর আগে নিষ্প্রাণ ত্বক, চুলের হাল ফেরাতে কী কী করা যায়। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর এই কফিই কিন্তু ত্বক, চুলের সমস্যায় মুশকিল আসান হয়ে উঠতে পারে।
১) এক্সফলিয়েট
ত্বকের মৃতকোষ সরিয়ে হারানো জেল্লা ফেরাতে অব্যর্থ কফি পাউডার। স্নানের আধ ঘণ্টা আগে নারকেল তেল কিংবা টক দইয়ের সঙ্গে কফি মিশিয়ে মাখলে জেল্লা ফিরবে। রক্ত চলাচলও ভাল হবে।
২) চুলের মাস্ক
গরম জল ফুটিয়ে তার সঙ্গে কফি ভাল করে মিশিয়ে নিন। জল ঠান্ডা হতে দিন। শ্যাম্পু করার পর একেবারে শেষে কফির মিশ্রণ দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। চুলের জেল্লা ফিরবে এবং পাকা চুলেও হালকা রং ধরবে।
৩) আন্ডারআই মাস্ক
চোখের তলায় কালি পড়লে দেখতে মোটেও ভাল লাগে না। সে ক্ষেত্রে কফি দিয়েই হতে পারে মুশকিল আসান। চোখের তলার কালো দাগ হালকা করার জন্য কফির গুঁড়োর সঙ্গে কয়েক ফোঁটা মধু মিশিয়ে লাগিয়ে রাখতে হবে ১৫ মিনিটের জন্য। তার পরে ধুয়ে ফেললেই হবে। টানা এক সপ্তাহ করলেই দেখতে পাবেন ফল।
৪) ঠোঁটের স্ক্রাব
পুজোর সময় থেকেই আবহাওয়ায় একটা শুষ্ক ভাব এসে যায়। এই সময় থেকে অনেকেই ঠোঁট ফাটার সমস্যায় ভোগেন। মধুর সঙ্গে কফির মিশ্রণে এই সমস্যা দূর হবে সহজেই।
৫) ফেস মাস্ক
ত্বকের জেল্লা ফেরাতে ব্যবহার করতে পারেন কফির মাস্কও। টক দইয়ের সঙ্গে কফি পাউডার মিশিয়ে মুখে মেখে রাখুন মিনিট দশেক। কফির অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট উপাদানে ত্বক হয়ে ঝলমলে।
৬) স্নানের জলে
কোনও কারণে হঠাৎ মনখারাপ? বাড়ি ফিরে স্নানের উষ্ণ জলে এক চামচ কফি গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। সেই জলে স্নান করুন। কফির গন্ধে তরতাজা হয়ে উঠবে মন। যাবতীয় চিন্তা, উদ্বেগ দূরে থাকবে।
৭) পায়ের স্ক্রাব
জুতোর চামড়া ফাঁক দিয়ে যেটুকু চামড়া দেখা যায়, রোদ লেগে তা-ও পুড়ে যায়। পুজোর সময়ে শুধু ত্বকের যত্ন নিলেই তো হবে না। নতুন, বাহারি জুতো পরতে গেলে পদযুগলকেও হয়ে উঠতে হবে চকচকে।