চুল পড়া রুখবে কিসে? ছবি: সংগৃহীত।
নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলের কাছেই ভাল চুলের কদর সমান। তাই চুল পড়তে শুরু করলেই কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়তে শুরু করে। ত্বকের মতো চুল ভাল রাখতেও কিন্তু যত্নের প্রয়োজন। চুলের যত্ন মানেই যে তা খুব খরচসাপেক্ষ, তা কিন্তু নয়। নামীদামি প্রসাধনী ব্যবহার করতে চান না বলেই রাত জেগে রিল দেখেন। নেটপ্রভাবীরা প্রাকৃতিক নানা উপাদান দিয়ে হরেক রকম তেল তৈরি করতে শেখান। সেই তেল মেখে তাঁদের কতটা উপকার হয়েছে সে কথাও জানান। কিন্তু সেই একই পদ্ধতি যে আপনার ক্ষেত্রেও খাটবে, তার কোনও মানে নেই। তাই চুল পড়া রুখতে গেলে ঘরোয়া টোটকা নয়, নিজের মাথার ত্বক এবং চুল ধোয়ার টুকিটাকি বিষয় সম্বন্ধে কয়েকটি ব্যাপার আগে জেনে রাখা জরুরি।
১) চুল ধোয়ার পদ্ধতিতে বদল:
চুলের জন্য খুব গরম জল খারাপ। তা চুলকে আরও রুক্ষ করে তুলতে পারে। তাই ঈষদুষ্ণ জলে স্নান করা যেতে পারে। আবার যদি প্রয়োজন না পড়ে, তা হলে খুব বেশি শ্যাম্পু ব্যবহার না করাই ভাল। কারণ, বেশি শ্যাম্পু করলে মাথার ত্বকের প্রাকৃতিক তেলের পরত নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
২) টোটকাই সব নয়:
ইনস্টাতে দেখানো সব টোটকাই যে খারাপ, তা নয়। তবে মুখের মতো সকলের মাথার ত্বকও আলাদা। তাই সকলের জন্য সব টোটকা কাজ না-ও করতে পারে। তাই সেই সব টোটকা ব্যবহার করার আগে চুল এবং মাথার ত্বকের ধরন বুঝে নেওয়া জরুরি। শুধু টোটকাই নয়, চুল আঁচড়ানো থেকে চুলের প্রসাধনী— সবই চুলের ধরন অনুযায়ী আলাদা হবে।
৩) রোজ শ্যাম্পু নয়:
শ্যাম্পু করলে চুলের ধরন বদলে যায় ঠিকই। তবে রোজ শ্যাম্পু করা চুল বা মাথার ত্বক— দুইয়ের জন্যেই খারাপ। কারও চুল বা মাথার ত্বক যদি খুব তৈলাক্ত হয়, সে ক্ষেত্রে এক দিন অন্তর চুলে শ্যাম্পু করা যেতে পারে। চুল বা মাথার ত্বক খুব রুক্ষ এবং শুষ্ক হলে সপ্তাহে দু’বার শ্যাম্পু করাই যথেষ্ট।
৪) চুলের ধরন অনুযায়ী প্রসাধনী:
কোনও প্রসাধনী মেখে বন্ধুর চুলের মান ভাল হয়েছে বলেই যে সেই সব জিনিস আপনার কাজে লাগবে, এমনটা কিন্তু নয়। প্রত্যেকের মাথার ত্বক এবং চুলের ধরন আলাদা। তাই সেই অনুযায়ী প্রসাধনী ব্যবহার করতে হবে। চুল বা মাথার ত্বকের ধরন নিজে বুঝতে না পারলে অবশ্যই অভিজ্ঞ কারও পরামর্শ নিতে হবে।
৫) শুধু বাইরে থেকে চর্চা নয়:
চুল বা ত্বকের জেল্লা ফিরিয়ে আনতে শুধু বাইরে থেকে চর্চা করলে হবে না। পুষ্টিকর খাবার, ফল যেমন খেতে হবে, তেমন নিয়মিত শরীরচর্চাও করতে হবে। রোজ মাথার ত্বকে মাসাজ করতে পারলেও ভাল হয়।