ছবি: সংগৃহীত।
ব্রণ হোক বা শুষ্ক ত্বকের সমস্যা— সমাধানে ঘরোয়া টোটকার উপরে ভরসা করেন অনেকেই। ত্বকচর্চায় এই সব টোটকা ব্যবহারের চল নতুন নয়। তবে, এই সমস্ত উপায় ইদানীং আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে নেটপ্রভাবীদের দৌলতে। সেই সব টোটকা যে একেবারেই কাজে দেয় না, এ কথা বলা যাবে না। কিন্তু সমস্যা হল, সব জিনিস সকলের ত্বকের পক্ষে উপযুক্ত নয়। এই সব টোটকা মেখে অনেকেরই মুখে র্যাশ বেরোয়, জ্বালা করে বা প্রদাহজনিত সমস্যা হতে পারে। তাই ব্যবহার করার আগে জেনে রাখা ভাল, কী কী মুখে মাখা যায় না।
এমন কোন কোন জিনিস ত্বকের পক্ষে ক্ষতিকর?
১) লেবুর রস
ত্বক থেকে রোদে পোড়া দাগ তুলতে মধুর সঙ্গে কিংবা ঘরোয়া প্যাকে লেবুর রস মিশিয়ে থাকেন অনেকেই। লেবুর মধ্যে রয়েছে সাইট্রিক অ্যাসিড, যা প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসাবে কাজ করে। তবে, ত্বকের চিকিৎসকেরা বলছেন, লেবুর রসের মধ্যে থাকা এই অ্যাসিড ত্বকের পিএইচের সমতা নষ্ট করে দিতে পারে। ফলে ত্বক কিন্তু অত্যন্ত স্পর্শকাতর হয়ে পড়ে। রোদ লাগলে ত্বকে অ্যালার্জিজনিত সমস্যাও বেড়ে যেতে পারে।
২) মাজন
ব্রণের উপদ্রব দূর করতে ঘরোয়া টোটকা হিসাবে অনেকেই মাজন ব্যবহার করেন। বেকিং সোডার সঙ্গে মাজন মিশিয়ে ওই মিশ্রণ ব্রণের উপর বিন্দু বিন্দু করে লাগালে হয়তো সমস্যা মেটে। কিন্তু রূপটান শিল্পীরা বলছেন, এই টোটকা ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক করে দেয়। ফলে ত্বকে নানা রকম অস্বস্তি বাড়তে পারে।
৩) বডি লোশন
স্নান সেরে এসে গায়ে বডি লোশন মাখতে মাখতে তাড়াহুড়োতে সেই হাতটিই মুখে ঘষে নেন অনেকে। হাতের তালুতে লেগে থাকা বাড়তি ক্রিমের সদ্ব্যবহারও হয়। তবে, ত্বকের চিকিৎসকেরা বলছেন, শরীরের অন্যান্য অংশের চামড়া মুখের তুলনায় বেশিই খসখসে। তাই মুখে মাখার ক্রিমের চাইতে বডি লোশন একটু বেশিই ঘন হয়। সে ক্ষেত্রে এটি মুখে মাখলে কিন্তু সমস্যা হতে পারে।
৪) পেট্রোলিয়ম জেলি
ফাটা ঠোঁট থেকে ফাটা গোড়ালি— সবের ওষুধ পেট্রোলিয়ম জেলি। কিন্তু মুখের চামড়ায় যদি ফাটল ধরে, সেখানে ভুলেও পেট্রোলিয়ম জেলি মাখা যাবে না। তাতে ত্বকের সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে।
৫) গায়ে মাখার সাবান
গায়ে মাখার তরল সাবান ত্বকের জন্য ভাল। তা সত্ত্বেও অনেক বাড়িতেই এখনও ‘বার’ সাবান ব্যবহার করা হয়। আর এই ধরনের সাবানের মধ্যে ক্ষারের পরিমাণ বেশি থাকে। যা ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক করে দেয়। তাই এই ধরনের সাবান মুখে মাখতে বারণ করা হয়।