খুশকি তাড়াতে মাথার ত্বকে গ্লিসারিন মাখা যায়? ছবি: সংগৃহীত।
যাঁদের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক, সাধারণ ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজ়ার মেখে তাঁদের বিশেষ লাভ হয় না। অনেকেই এই সমস্যা বশে রাখতে স্নান করার পর সারা শরীরে নারকেল তেল মাখেন। আবার অনেকে মাখেন গ্লিসারিন। এই টোটকায় ত্বকের খসখসে ভাব অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে। মাথার ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে গেলে খুশকির বাড়বাড়ন্ত হয়। মাথার ত্বকে গ্লিসারিন মাখলে কি সমস্যার সমাধান হতে পারে? চুলে কি আদৌ এমন উপাদান মাখা যায়?
ত্বকের চিকিৎসকেরা বলছেন, গায়ের মতো মাথার ত্বকেও গ্লিসারিন মাখা যায়। বিশেষ করে, যদি মাথার ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয় কিংবা খুশকির বাড়বাড়ন্ত হয়, সে ক্ষেত্রেও কিন্তু গ্লিসারিন ব্যবহার করা যায়। ত্বকের চিকিৎসকেরা বলছেন, গ্লিসারিনের কাজ হল ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখা। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কমে গেলেও মাথার ত্বকে যাতে তার কোনও প্রভাব না পড়ে, সেই দিকেও খেয়াল রাখে গ্লিসারিন।
মাথার ত্বকে বা চুলে গ্লিসারিন মাখলে আর কী কী উপকার হয়?
১) খুশকি তাড়াতে ‘মেডিকেটেড’ শ্যাম্পু মাখতেই পারেন। কিন্তু এই ধরনের শ্যাম্পুর মধ্যে এমন কিছু রাসায়নিক থাকে, যার প্রভাবে এটি বেশি ব্যবহার করলে চুলের মান খারাপ হয়ে যায়। তাই খুশকি থেকে মুক্তি পেতে ঘরোয়া টোটকা হিসাবে গ্লিসারিন ব্যবহার করাই যায়।
২) মাথার ত্বকে নিয়মিত গ্লিসারিন ব্যবহার করলে পিএইচের ভারসাম্য বজায় থাকে। চুল থাকে রেশমের মতো কোমল। মাথার ত্বক খুব বেশি শুষ্ক হয়ে পড়ে না।
৩) চুলের ডগা ফাটার সমস্যা থাকলে তা-ও নির্মূল করে গ্লিসারিন। শ্যাম্পু করার আগে চুলে গ্লিসারিন মাখলে তা কন্ডিশনারের মতো কাজ করে।
মাথার ত্বকে বা চুলে কী ভাবে মাখবেন গ্লিসারিন?
গ্লিসারিন সাধারণত একটু ভারী প্রকৃতির। হাতে নিলে চটচট করে। তাই মাথার ত্বকে শুধু গ্লিসারিন না মেখে তা জলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে। ত্বকের চিকিৎসকেরা বলছেন, গ্লিসারিন সাধারণত ত্বকের জন্য নিরাপদ। তবে, ব্যতিক্রম তো থাকেই। তাই মাথায় মাখার আগে ‘প্যাচ টেস্ট’ করে নেওয়া জরুরি।