নববর্ষের পোশাকে থাকুক বৈশাখী আমেজ। ছবি: সংগৃহীত।
মেয়েদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এখন ছেলেরাও ফ্যাশনের ব্যাপারে বেশ উত্সাহী। অনেকের ধারণা নামী-দামি সংস্থার পোশাক এবং সাজের অনুষঙ্গ ব্যবহার করলেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসা যায়, তবে এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই। একটু বুদ্ধি খাটিয়ে কম খরচেও দিব্যি সাজা যায়। তাই অর্থ নয়, বরং মগজের জোরেই তৈরি করুন স্বতন্ত্র স্টাইল স্টেটমেন্ট! রাত পোহালেই নববর্ষ। আর উৎসবের দিনে একটু সাজগোজ হবে না তাই কখনও হয়? নববর্ষের সাজে থাকুক বৈশাখী ছোঁয়া! নারীদের নজর কাড়তে খুব বেশি জমকালো পোশাক নয়, এই গরমে ভরসা রাখুন ছিমছাম নকশার সাবেক পোশাকের উপর। গরমের দিনে পোশাক বাছাই করার ক্ষেত্রে নিজের আরামের বিষয়টিও সবার আগে মাথায় রাখতে হবে। জেনে নিন, পয়লা বৈশাখের ফ্যাশনের কিছু জরুরি টোটকা, যা ভুললে কিন্তু একেবারেই চলবে না।
১) পাঞ্জাবিটি দামি হোক বা না হোক, থাকতে হবে পরিপাটি। অনেক দাম দিয়ে পোশাক কিনেছেন, অথচ কোঁচকানো পাঞ্জাবি পরেই পরিবারের সঙ্গে বেরিয়ে পড়লেন রেস্তরাঁয়। তা হলে কিন্তু আপনার সাজ একেবারে মাটি। তাই পোশাক পরার আগেই কোনও কারণে ভাঁজ পরলে ইস্ত্রি করে পরিপাটি করে রাখুন।
২) সাজগোজের পাশাপাশি সুগন্ধি বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকতে হবে। পোশাক পরার আগে বডি স্প্রে বা রোল অন ডিয়োডোর্যান্ট লাগাতে ভুলবেন না। শুধুমাত্র সেখানেই থেমে থাকলে হবে না। সারা দিন চনমনে থাকতে হলে পোশাকের উপরেও শক্তিশালী সুগন্ধি ব্যবহার করুন।
৩) সাঁলোতে গিয়ে ফেশিয়াল করিয়ে ফেললেন অথচ চুলের কাট একেবারেই আপনার মুখের গড়নের সঙ্গে মানানসই হল না, এই ভুলটা করবেন না যেন। চুল কাটানোর ব্যাপারে তাই সব সময়ে সতর্ক থাকুন। শেষ মুহূর্তের লুক নিয়ে খুব বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করাই ভাল। চুল কাটালেই হল না, পাশাপাশি দাড়ির দিকেও নজর দিতে হবে। অনেককে একেবারে ক্লিন শেভে ভাল দেখায়, আবার অনেককেই দাড়ি-গোঁফ রাখলেই বেশি ভাল লাগে। তবে দাড়ি-গোঁফ রাখলে তা যেন অবশ্যই ট্রিম করা থাকে, সে দিকে নজর রাখুন।
৪) পাঞ্জাবির সঙ্গে জুতোটিও হতে হবে পরিপাটি। জুতো ময়লা হয়ে গেলে ভাল করে করে পালিশ করিয়ে নিতে ভুলবেন না। পাঞ্জাবির ক্ষেত্রে স্যান্ডেল পরাই শ্রেয়।
৫) দুপুরে কোথাও বেরোতে হলে রোদচশমাটি ভুলবেন না। সাবেকি সাজ হোক কিংবা ক্যাজুয়াল লুক— সব ক্ষেত্রেই দিনের বেলা সানগ্লাস লাগবেই! ত্বক বাঁচবে, ফ্যাশনও হবে।