ছবি: প্রতীকী
সপ্তাহে একটা ছুটির দিন। ওই দিনটিতে নিজের পরিচর্যা করবেন না কি ঘরের, বুঝে উঠতে পারেন না। এ দিকে, সারা দিন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বসে ত্বকের অবস্থা ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। সারা দিন নানা কাজে ব্যস্ত থাকার পর ফিরে এসে অনেক সময়েই ধাপে ধাপে মুখের মেকআপ তুলতে ইচ্ছে করে না। তাই শুধু জল দিয়ে ধুয়েই শুয়ে পড়েন অনেকে।
আবার ধুলো, ধোঁয়া, দূষণের হাত থেকে চুলকে বাঁচাতে রোজ শ্যাম্পু করেন। কিন্তু মাথায় তেল দেওয়ার যে প্রয়োজন রয়েছে, সে কথাও অস্বীকার করতে পারেন না। সকালে কাজে বেরোনের আগে মাথায় তেল মেখে বসে থাকার সময় নেই। তাই সময়ের অভাবে রাতেই তেল মেখে শুয়ে পড়ার অভ্যাস রয়েছে অনেকেরই। তবে রূপ এবং চুল সংক্রান্ত বিষয়ে চর্চা করেন যাঁরা, তাঁদের মতে যত্ন করতে গিয়ে নিজেদের অজান্তেই এমন কিছু কাজ করে ফেলেন, যা আসলে ত্বক বা চুলের জন্য খারাপ।
১) মেকআপ না তুলে ঘুমোতে যাওয়া
কাজ থেকে ফিরে আসার পর শরীর এতটাই ক্লান্ত থাকে যে, ধাপে ধাপে মেকআপ তোলার ধৈর্য থাকে না অনেকের। মেকআপ করার ক্ষেত্রে যতটা যত্ন প্রয়োজন, তার চেয়েও বেশি ধৈর্য লাগে মেকআপ তুলতে। শরীর দিচ্ছে না হলে মেকআপ নিয়ে ঘুমোতে যাওয়ার অভ্যাস কিন্তু ত্বকের প্রভূত ক্ষতি করে।
২) ময়েশ্চারাইজ়ার না মাখা
গরমে বেশির ভাগ সময়েই মুখ তেলতেলে হয়ে যায়। এই ভেবে যদি মুখে ময়েশ্চারাইজ়ার না মাখেন, তা হলে ত্বক কিন্তু আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারবে না। জলের অভাবে কিন্তু গরমেও ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে। তাই ত্বকের শুষ্কতা এড়াতে চাইলে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ময়েশ্চারাইজার মাখা জরুরি।
৩) মাথায় সারা রাত তেল মেখে রাখা
বেশি ক্ষণ মাথায় তেল থাকলে মাথার ত্বক পর্যাপ্ত পুষ্টি পাবে, এমন ধারণা কিন্তু ঠিক নয়। এ বিষয়ে অভিজ্ঞরা বলছেন, চুলের পুষ্টির জন্য মাথার ত্বকে ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট তেল মেখে রাখাই যথেষ্ট। সারা রাত তেল মেখে রেখে দিলে মাথার ত্বকেও কিন্তু ব্রণের সমস্যা হতে পারে।
৪) ঘুমোতে যাওয়ার আগেই মদ্যপান করা
ঘুমোতে যাওয়ার আগে মদ্যপান করার অভ্যাস থাকলে, তা ত্যাগ করাই ভাল। যাঁরা নিয়মিত মদ খান, গরমে তাঁদের শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে যাওয়া বা ঘুমের স্বাভাবিক চক্র বিঘ্নিত হওয়ার জন্য দায়ী কিন্তু এই পানীয়।
৫) বালিশের খোল পরিষ্কার না করা
নিয়মিত বালিশের খোল বা চাদর পরিষ্কার না করলেও কিন্তু ত্বক এবং চুলের ক্ষতি হয়। গরমে ঘাম, ধুলোবালি, ত্বকের মৃত কোষ— সবই লেগে থাকতে পারে বালিশের খোলে। ফলে মাথার ত্বকে বা মুখে সংক্রমণ হওয়া অস্বাভাবিক নয়। এই সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পেতে দু’-তিন দিন অন্তর বালিশের খোল, চাদর বদলে ফেলার পরামর্শ দেন অভিজ্ঞরা।