ছবি: প্রতীকী
দেশের দক্ষিণ প্রান্তে বর্ষার আগমনবার্তা এসে পৌঁছলেও এখানে বৃষ্টির দেখা নেই। উল্টে রবিবার পর্যন্ত বিভিন্ন জেলার তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোতে নিষেধ করছেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু পুলিশ, যানবাহনের চালক বা জরুরি পরিষেবা দেওয়ার জন্য যাঁদের দিনের বেশির ভাগ সময়েই রাস্তায় থাকতে হয়, এই গরমে তাঁদের ত্বকে ঘামাচি বা র্যাশের মতো নানা রকম সমস্যা হওয়া স্বাভাবিক। একটু বৃষ্টির জল পড়লেই সব মিলিয়ে যাবে ভেবে এই ধরনের সমস্যাকে বেশির ভাগ মানুষই খুব একটা আমল দেন না। চিকিৎসকেরা বলছেন, সাধারণ র্যাশ ভেবে ‘এগজ়িমা’কে হালকা ভাবে নেওয়া কিন্তু ত্বকের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।
চিকিৎসকদের মতে, এই ধরনের ত্বকের সমস্যা বাড়াবাড়ি আকার ধারণ করে সচেতনতার অভাবে। ত্বকের উপর লাল হয়ে যাওয়া বা চুলকানির সমস্যাকে অনেকেই ত্বকের ছত্রাকজনিত সংক্রমণ বলে ভুল করেন। আবার অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে নিজে থেকেই এর উপর নানা রকম মলম বা পাউডার লাগিয়ে থাকেন। এতে হিতে বিপরীত হয়। দেখতে অনেকটা এক রকম এবং লক্ষণগুলিও প্রায় একই ধরনের বলে গরম থেকে হওয়া র্যাশ এবং ‘এগজ়িমা’-র তফাত করতে পারেন না অনেকে। তাই এই ধরনের সমস্যায় চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। তবে তার আগে জেনে নেওয়া প্রয়োজন ‘এগজ়িমা’ কেন হয়।
চিকিৎসকেরা বলছেন, শরীরের অভ্যন্তরীণ কোনও সমস্যা যেমন ‘ভেরিকোস ভেন্স’, ‘স্টাটিস ডার্মাটাইটিস’ এর মতো রোগ কিন্তু ত্বকে ‘এগজ়িমা’র কারণ হতে পারে। এ ছাড়াও ক্ষতিকর রাসায়নিক, চুলের রং, অতিরিক্ত ক্ষারযুক্ত কাপড় কাচার সাবান, স্যানিটাইজ়ার, নকল গয়না এবং কিছু গাছ থেকেও ত্বকে ‘এগজ়িমা’ হতে পারে। সকলের ক্ষেত্রে যে লক্ষণগুলি এক রকম হবে, তা নয়। কারও ক্ষেত্রে ত্বকের উপর সাধারণ র্যাশ হতে পারে। আবার কারও ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে গিয়ে চামড়া আঁশের মতো উঠে আসতে পারে। দীর্ঘ দিন ত্বকের এই সমস্যার চিকিৎসা না হলে সেখান থেকে অনিদ্রা বা অবসাদজনিত সমস্যাও দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।