ব্ল্যাকহেড্স দূর হবে কিসে? ছবি: সংগৃহীত।
শীতকালে আর্দ্রতায় টান পড়লেও তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা কিন্তু থেকেই যায়। সেবাম এবং রাস্তার ধুলোময়লা জমে মুখের উন্মুক্ত ছিদ্রগুলি বন্ধ হয়ে যায়। নাকের দু’পাশে, থুতনিতে অতি সূক্ষ্ম কালো বিন্দুর মতো ফুটে উঠতে দেখা যায়। খুব ভাল ভাবে না দেখলে প্রাথমিক অবস্থায় বোঝা মুশকিল। কিন্তু দিনের পর দিন এই ব্ল্যাকহেড্স নাকের বা থুতনির উন্মুক্ত রন্ধ্রের উপর জমতে থাকলে তা বেশ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। অথচ দাগছোপহীন, নিটোল ত্বকে অবাঞ্ছিত কিছু থাকাও কাম্য নয়। বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে মাসে একটা দিন সালোঁয় গিয়ে ফেশিয়াল করলে হবে না। নিয়মিত ঘরোয়া স্ক্রাব দিয়ে ত্বক পরিচর্যা করতে হবে।
কোন কোন উপাদান দিয়ে স্ক্রাব তৈরি করতে পারেন?
১) চিনি, নারকেল তেল
মোটা দানার চিনি হলে স্পর্শকাতর ত্বকে সমস্যা হতে পারে। তাই চিনি গুঁড়ো করে নিন। তার সঙ্গে মিশিয়ে নিন নারকেল তেল। হালকা হাতে মুখে ঘষতে থাকুন। মিনিট তিনেক পর ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। মৃত কোষ সরিয়ে, ত্বককে ভিতর থেকে উজ্জ্বল করে তুলতে পারে এই টোটকা।
২) ওটমিল, টক দই
মিক্সিতে ওট্স গুঁড়ো করে নিন। টক দইয়ের সঙ্গে ওই ওটমিলের গুঁড়ো মিশিয়ে মুখে মেখে রাখুন। হালকা হাতে ঘষে নিন। কিছু ক্ষণ পর ঈষদুষ্ণ জলে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল শুষে নিতে সাহায্য করে ওটমিল। আবার, ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে টক দই।
৩) শসা, ব্রাউন সুগার
ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে দারুণ উপকারী শসার রস। সঙ্গে ব্রাউন সুগার-এর মিশ্রণ ব্ল্যাকহেড্স এবং হোয়াইটহেড্স-এর সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
৪) গ্রিন টি স্ক্রাব
চা খেয়ে গ্রিন টি-ব্যাগ ফেলে দেন নিশ্চয়ই? ফেলে না দিয়ে টি-ব্যাগ থেকে চা পাতা বার করে নিন। ব্লেন্ডারে মিহি করে ব্লেন্ড করে নিয়ে মুখে মেখে রাখুন। হালকা হাতে নাক এবং ঠোঁটের চারপাশে ঘষে নিন। তার পর ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৫) নুন, লেবুর রস
স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য এই টোটকা নয়। তবে যাঁদের ত্বক অতিরিক্ত রুক্ষ, অথচ ব্ল্যাকহেড্স-এর সমস্যা রয়েছে, তাঁরা লেবুর রসের সঙ্গে নুন মিশিয়ে মুখে মাখতে পারেন। ব্ল্যাকহেড্স দূর হবে সহজেই।