মনের মতো কেক হবে কী করে? ছবি: সংগৃহীত।
বড়দিনে বন্ধুদের নিজের হাতে তৈরি কেক খাওয়াতে চান। তাই রাতের পর রাত জেগে ইউটিউবে পর পর কেক তৈরির ভিডিয়ো দেখেছেন। একেবারে পেশাদার ‘বেকার’দের মতো না হলেও মনের মতো কেকও ঠিক হচ্ছে না। হয় কেকের মিশ্রণ খুব পাতলা হয়ে যাচ্ছে, না হলে বিস্কুটের মতো শক্ত হয়ে যাচ্ছে। খেতেও যে খুব ভাল লাগছে, তা নয়। মুখে দিলে কেকের সেই মসৃণ ভাবও পাচ্ছেন না। রন্ধনশিল্পীদের মতে, কেক বা কুকি তৈরি করতে গেলে উপকরণের পাশাপাশি প্রয়োজন অনেকটা ধৈর্য। কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলেই মনের মতো কেক তৈরি করতে পারবেন।
১) মাখন ভাল না হলে বিপদ
কেক বা কুকি তৈরিতে মাখনের ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। কেকের মধ্যে মোলায়েম বা মসৃণ ব্যাপারটির জন্য মাখনের মান ভাল হওয়া প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে ‘আনসল্টেড’ বা নুন ছাড়া মাখন ব্যবহার করতে পারলেই ভাল। মাখনের মধ্যে ফ্যাটের পরিমাণ বেশি থাকলে কেক নরম, তুলতলে হবে।
২) সঠিক পরিমাপ জরুরি
কুকি হোক বা কেক, তৈরির ক্ষেত্রে ময়দা, বেকিং সোডা, কোকো পাউডার, গুঁড়ো চিনি, মাখন, ডিম, ভ্যানিলা এসেন্স, এমনকি ড্রাই ফ্রুট্স— প্রতিটি উপকরণের মাপ সঠিক না হলে কেক হয়ে যাবে কুকি আর কুকি হয়ে যাবে ঠেকুয়া।
৩) প্রতিটি পর্যায়ে ধৈর্য রাখা প্রয়োজন
বেকিং-এর ক্ষেত্রে অনেকগুলি ধাপ বা পর্যায় রয়েছে। চালুনির সাহায্যে ময়দা চেলে নেওয়া থেকে প্রতিটি ডিম আলাদা আলাদা করে ফেটিয়ে নেওয়া— সব কাজ অত্যন্ত ধৈর্য নিয়ে করতে হবে। কেকের মিশ্রণ থেকে কেক সাজানো, সবেতেই অনেক সময় লাগে। হাতে সময় কম থাকলে, বেকিং না করাই ভাল।
৪) সঠিক তাপমাত্রা
বেকিং-এর ক্ষেত্রে তাপমাত্রা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কেক বা কুকি তৈরির ক্ষেত্রে ‘স্লো কুকিং’ জরুরি। তাই বেকিং-এর আগে এই সম্বন্ধে সবটা ভাল করে জেনে নিয়ে তার পর মাঠে নামুন। তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে ভেবে অভেনের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিলে কিন্তু লাভ হবে না। কেক বা কুকি পুড়ে যাবে।
৫) কেক ঠান্ডা করা
কেক বেক করার পর, তা সময় নিয়ে ঠান্ডা করাও খুব জরুরি। অভেন থেকে নামিয়ে সঙ্গে সঙ্গে কেক পরিবেশন করলে তার স্বাদ পাওয়া যাবে না। তাই অভেন থেকে বার করার পর, বেকিং করার পাত্রের মধ্যেই কেক বা কুকি সঠিক ভাবে ঠান্ডা করে নিন।