পার্লারে গিয়ে হরেক নামের ও হরেক দামের ‘হেয়ার স্পা’ করান অনেকেই। প্রতীকী ছবি
পুজোর পাঁচ দিন খোঁপা হোক কিংবা খোলা চুলের ফ্যাশন, কোনওটাই জমবে না চুলের সঠিক যত্ন না নিলে। কেবল চোখ ধাঁধানো পোশাক পরেই নয়, চুল বাঁধার কেরামতিতেই বদলে যেতে পারে আপনার সম্পূর্ণ লুক। বেশ খানিকটা সময় ধরে চুলে স্ট্রেটনিং করলেন, ভাবলেন চমকে দেবেন সকলকে! কিন্তু কয়েক ঘণ্টা যেতেই চুল যেন কাকের বাসা! কেতা টিকল না বেশি ক্ষণ, তার উপর চুলেরও বারোটা বাজল।
প্রথমেই একটি বিষয় না মেনে উপায় নেই যে, চুলের বৃদ্ধি আর ঘনত্ব ব্যক্তিভেদে পৃথক হয়। তাই ইচ্ছে করলেই মাথা ভরা চুল গজিয়ে উঠবে, এমনটা কিন্তু নয়। কিন্তু নিয়মিত যত্ন নিলে যতটুকু আছে, তার স্বাস্থ্য ভাল রাখা সম্ভব। রুক্ষ চুলেই জট পড়ে বেশি। তাই প্রথমেই আপনাকে আর্দ্রতার জোগানের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রচুর জল ও তরল পানীয় খান— তা আপনার ত্বক আর চুল দুটোই ভাল রাখবে। সপ্তাহে দু’ থেকে তিন দিন আমরা শ্যাম্পু করি, কন্ডিশনার লাগাতেও ভুলি না। কিন্তু তেল? নিয়ম করে সপ্তাহে অন্ততপক্ষে দু’দিন তেল কিন্তু লাগাতেই হবে। চুলের গোড়া মজবুত করতে ‘হট অয়েল ট্রিটমেন্ট’-এর জুড়ি মেলা ভার। এমনকি, চুলের প্রকৃতি তৈলাক্ত হলেও তার যত্ন নিতে ভরসা রাখুন হট অয়েল মালিশের উপরেই। শুষ্ক চুলে প্রাণ ফেরানো থেকে শুরু করে চুল পড়া রোধ, সবেতেই তেলের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।
চুলের যত্ন নিতে পার্লারে গিয়ে হরেক নামের ও হরেক দামের ‘হেয়ার স্পা’ করান অনেকেই। এতে সময় আর টাকা দুটোই ব্যয় হয় অনেক। বাড়িতেই বানিয়ে ফেলতে পারেন এমন ঘরোয়া প্যাক, যা চুল নরম, মসৃণ রাখতে সাহায্য করবে। এমনই হেয়ার প্যাকের হদিস দিলেন রূপচর্চা সহায়ক ও রূপটানশিল্পী কেয়া শেঠ।
কেয়া বললেন, ‘‘রাতে আমলকি তেল ও জবা ফুল একসঙ্গে ফুটিয়ে সেই তেলটা দিয়ে সারা মাথায় মালিশ করুন। পর দিন সকালবেলা ১০০ গ্রাম মেথি গুঁড়ো, ২০ গ্রাম আমলা গুঁড়ো, ২০ গ্রাম শিককাই গুঁড়ো ও মেহেন্দি পাতা গুঁড়ো এবং পরিমাণ মতো টক দই মিশিয়ে একটি ঘন মিশ্রণ তৈরি করে নিন। প্যাকটি আধ ঘণ্টা রেখে ঠান্ডা জল দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাক সপ্তাহে দু’বার লাগাতে পারলেই ফিরবে চুলের জেল্লা!’’