প্রাকৃতিক উপায়ে রূপচর্চা। ছবি: সংগৃহীত।
যত নামী সংস্থার প্রসাধনী হোক না কেন, তার মধ্যে রাসায়নিক থাকবেই। ত্বক কিংবা চুলের সমস্যা নিরাময়ে দাম দিয়ে সে সব প্রসাধনী কিনে ব্যবহার করেন অনেকেই। অনেকে আবার রাসায়নিক ব্যবহারের বিষয়ে সচেতন। তাই ফুলের নির্যাস বা ভেষজের উপর ভরসা করেন। বাজারে অনেক সংস্থাই নানা ধরনের ফুল কিংবা ভেষজের নির্যাস দিয়ে বিশেষ ধরনের অয়েল প্রস্তুত করে। ত্বক কিংবা চুলের পরিচর্চায় সেই সব জিনিস ব্যবহার করবেন বলে কিনে এনেছেন। কিন্তু কোন সমস্যার জন্য কোনটি মাখতে হয়, তা জানা আছে কি?
১) ত্বক এবং চুলের নানাবিধ প্রসাধনীতে ক্যালেন্ডুলা ফুলের নির্যাস থাকে। শুষ্ক ত্বক পেলব করতে, ত্বকের আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে এই নির্যাস।
২) বিদেশি রান্নাতে তো বটেই, রোজ়মেরি অয়েল কিংবা গাছের পাতা ভেজানো জল ত্বক এবং চুলের জন্যেও সমান উপকারী। ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে, নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে এই ভেষজ।
৩) ল্যাভেন্ডার ফুলের নির্যাসে রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল পেপটাইড। যা সংক্রমণজনিত সমস্যা নিরাময়ে দারুণ কাজ করে। স্নানের জলে কিংবা ময়েশ্চারাইজ়ারে দু-ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অয়েল মিশিয়ে নিলে ত্বকের অনেক সমস্যাই বশে রাখা যায়।
৪) ত্বকের প্রদাহ, চোখের তলার কালি দূর করতে দারুণ কাজ করে ক্যামোমাইল। ক্যামোমাইল অয়েলের সঙ্গে মধু এবং কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে মুখে মাখলে ত্বকের আর্দ্রতাও বজায় থাকে।
৫) মাথার চুল থেকে পায়ের নখ— প্রায় সর্বত্র অ্যালো ভেরা ব্যবহার করা যায়। রোদে পোড়া দাগ, র্যাশ থেকে মাথার অবাধ্য খুশকি, অ্যালো ভেরার গুণে সব নিরাময় হয়।