জামাকাপড় নতুনের মতো থাকবে? ছবি: শাটারস্টক।
রোজকার পরার পোশাক তো লন্ড্রিতে দেওয়া হয় না। দু-এক দিন অন্তর বালতি ভর্তি সাবান জলে কিংবা ওয়াশিং মেশিনে কাচা হয় সে সব পোশাক। ভেজা পোশাক টান টান করে রোদে মেলে শুকিয়ে, হালকা ইস্ত্রি করে নিলেই পরের দিন পরার জন্য ‘রেডি’। রোজকার পরার পোশাক প্রতি দিন কাচলে তার রং ফ্যাকাসে হয়ে যেতেই পারে। কাচার কিংবা শুকোতে দেওয়ার ভুলেও অনেক সময়ে পোশাক জেল্লা হারায়। তবে, কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে পারলেই জামাকাপড়ের রং নতুনের মতো থাকতে পারে। জানেন, সেগুলি কী কী?
১) কাচা জামাকাপড় রোদে শুকোতে না দেওয়াই ভাল। যদি দিতেই হয়, শার্ট, টপ বা জিন্স উল্টো করে ভিতরের দিকটা রোদে মেলে দিন। জামাকাপড়ের রং ধরে রাখতে হলে একেবারেই সরাসরি রোদ লাগানো চলবে না।
২) ভেজা জামাকাপড় ছাদে শুকোতে না দিয়ে বারান্দা কিংবা ঘেরা কোনও জায়গায় শুকোতে দিন। পোশাকে অতিবেগনি রশ্মি সরাসরি এসে পড়লে পোশাকের রং নষ্ট হবে।
৩) গাঢ় রঙের পোশাকের ফিকে হয়ে যাওয়ার প্রবণতা বেশি। তাই কেচে শুকোতে দেওয়ার সময়ে এই বিষয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। হালকা রঙের পোশাক রোদে দিলে সমস্যা নেই। তবে, গাঢ় রঙের পোশাক সব সময়ে ছায়াঘেরা জায়গায় শুকোতে দেওয়াই শ্রেয়।
৪) বাজারে এখন বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পাওয়া যায়। যা ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখার পাশপাশি সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগনি রশ্মির হাত থেকেও জামা-কাপড়গুলিকে রক্ষা করে।
৫) ভিজে পোশাক সকালে শুকোতে দিয়ে বিকেল পর্যন্ত ছাদে ফেলে রাখলে রং নষ্ট হবেই। তার চেয়ে বরং চড়া রোদ ওঠার আগে কাপড় কেচে মেলে দেওয়া যেতে পারে। চড়া রোদ ওঠার আগে তা হলে শুকিয়ে যাবে। না হলে বিকেল-সন্ধ্যায় জামাকাপড় কেচে ছাদে মেলে দিতে পারেন। সারা রাত হাওয়ায় থাকলে শুকিয়ে যাবে।