স্প্রে সানস্ক্রিন কি ভাল? ছবি: সংগৃহীত।
এত দিনে অনেক রকম সানস্ক্রিন ব্যবহার করা হয়ে গিয়েছে। কোনওটি ক্রিমের মতো, কোনওটি আবার জেল। সেই ক্রিম মাখলে হয়তো রোদ থেকে ত্বককে বাঁচানো যায়। কিন্তু অনেকেই বলেন, এই ধরনের সানস্ক্রিন মাখলে মুখ বেশি কালচে হয়ে যায়। যাঁদের ত্বক তৈলাক্ত, তাঁদের মুখে আরও ব্রণ বেরোয়। সেই সব কথা মাথায় রেখেই বেশ কয়েকটি প্রসাধনী সংস্থা পাউডার সানস্ক্রিন এনেছিল বাজারে। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য এই প্রসাধনীটি বেশ কাজের। তাই একটা সময়ে পাউডার সানস্ক্রিনেরও খুব কদর ছিল। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সমস্যা হল বার বার ব্যবহার করা। সেই সমস্যা সমাধান করতে ইদানীং মাঠে নেমেছে স্প্রে সানস্ক্রিন।
সূর্যের অতিবেগনি রশ্মি থেকে ত্বকের ক্ষতি আটকাতে গেলে বাড়ি থেকে বেরোনোর অন্তত আধ ঘণ্টা আগে সানস্ক্রিন মাখতে হয়। কিন্তু সারা দিন যদি বাইরে মাঠেঘাটে কাজ করতে হয়, তা হলে ওই এক বার সানস্ক্রিন মাখলে হবে না। ত্বকের চিকিৎসকেরা বলছেন, ত্বককে পুরোপুরি সুরক্ষিত রাখতে হলে দু-তিন ঘণ্টা অন্তর সানস্ক্রিন মাখতে হবে। ঘরের বাইরে ক্রিম বা পাউডার মাখা একটু ঝক্কির। কিন্তু স্প্রে বোতলের ক্ষেত্রে তেমন সমস্যা হওয়া কথা নয়। রাস্তাঘাটে সুগন্ধি মাখার মতো ত্বকে সানস্ক্রিন স্প্রে করে নিলেই কাজ শেষ। কিন্তু স্প্রে সানস্ক্রিন কি ক্রিম বা পাউডারের মতোই কাজ করে? নিয়মিত মাখলে ত্বকের কোনও ক্ষতি হয় না তো?
স্প্রে সানস্ক্রিন মাখার সুবিধা, অসুবিধা কী কী?
ক্রিম, জেল বা পাউডার সানস্ক্রিনের চেয়ে স্প্রে-র সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এটি ব্যবহার করা। সুগন্ধির মতোই স্প্রে বোতলে থাকে এটি। তাই সহজেই শরীরের অনাবৃত অংশে মেখে ফেলা যায়। শরীরের যে অংশে হাত পৌঁছয় না, সেখানে সহজেই সানস্ক্রিন স্প্রে করে নেওয়া যায়। অনেকেই বলেন, সানস্ক্রিন মাখলে মুখ অতরিক্ত তৈলাক্ত হয়ে যায়। অনেকের আবার মুখ চটচট করে। স্প্রে সানস্ক্রিন হল তাঁদের জন্য ‘ওয়ান স্টপ সলিউশন’।
অন্য দিকে, স্প্রে সানস্ক্রিন ব্যবহারের কিছু সমস্যাও আছে। এই ধরনের প্রসাধনীতে সুগন্ধির মতো ‘ফ্লেমেবল’ কিছু গ্যাস এবং অ্যালকোহল থাকে। তাই মাখার পর ত্বকে জ্বালা করতে পারে। স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য তা অত্যন্ত ক্ষতিকর। ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক করে দিতে পারে এই প্রসাধনীটি।